কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের পর, পেরিয়েছে প্রায় দুইমাস। এখনও ঘোর কাটিয়ে উঠতে পারেনি পরিবার। ছেলে হারানোর শোকে পাথর প্রায় বাবা-মা। ছেলের জন্য জাতীয় বীরের মর্যাদা ছাড়াও, জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি তাদের।
কোটা বিরোধী আন্দোলনের কথা মনে হলেই যাদের নাম সামনে আসে, তাদের মধ্যে অন্যতম রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। স্বপ্ন ছিল বৈষম্যহীন একটি নতুন বাংলাদেশের, তাই নেমেছিল আন্দোলনে। তবে জয়ের স্বাদ নিতে পারেনি আবু সাঈদ।
গত ১৬ জুলাই পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে শেষ হয় সব। তার এই আত্মত্যাগে সারা দেশে আরও বেগবান হয়েছিলো আন্দোলন। তবে ছেলেকে চিরতরে হারায় বাবা-মা, ভাই হারায় ভাইকে।
এখন প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ যান আবু সাঈদের বাড়িতে, দেন সান্ত্বনা। সহযোগিতার হাতও বাড়িয়েছেন অনেকে। কিন্তু এতটুকুও কমেনি বৃদ্ধ মা বাবার বেদনা।
বুকের ভেতর সন্তান হারানোর বেদনা নিয়েও, আবু সাঈদের বাবা-মা আজ গর্বিত। সন্তানের এই আত্মত্যাগ যেন বিফলে না যায়, তাই চান বীরের মর্যাদা।
নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের সকলকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি স্বজন ও এলাকাবাসীর।