নিজের সঞ্চয় আমানত রেখে, প্রয়োজনের টাকাও তুলতে পারছে না কয়েকটি ব্যাংকের গ্রাহকেরা। তাই অনাস্থা কাটছে না ব্যাংক খাতে। অবশ্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে ধৈর্য ধরার কথা। গভর্ননের মতে, ৯৫ শতাংশ গ্রাহকের আমানত নিরাপদ, ফেরত পাবেন পুরো অর্থ। কয়েকটি ব্যাংকের প্রতি অনাস্থার চাপ, অন্যদের বিপাকে ফেলেছে বলে মনে করেন ব্যাংকাররা।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, এক সময়ের শক্তিশালী ব্যাংক, বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বেশি আমানত এখানে। তবে, ঋণের নামের অর্থ তসরুপ আর লোপাটে, ব্যাংকটি এখন, গ্রাহকের আমানতের অর্থ ফেরৎ দিতেই হিমশিম খাচ্ছে। আর নিজেদের সঞ্চয় তুলতে, গ্রাহকরা এক শাখা থেকে ছুটছেন আরেক শাখায়।
রাজনৈতিক পটপরির্বতনের পর ব্যাংকটির বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে সম্প্রতি। তারল্য সহায়তা আটকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও, নতুন চেয়ারমান বলছে, ব্যাংকটি ঘুরে দাড়াবে, চেয়েছেন গ্রাহকের সহায়তা।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এস আলমের দখলে থাকা ৭ ব্যাংকসহ ১০ ব্যাংকের অবস্থা নাজুক। তবে আমানতকারীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। গভর্নর বলছেন, ৯৫ শতাংশ আমানতকারীর অর্থ নিরাপদ।
ব্যাংকাররা বলছেন, কয়েকটি ব্যাংকের সংকট আস্থায় চিড় ধরিয়েছে অন্য ব্যাংকের আমানতকারীদেরও। তবে, তারা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে যাচ্ছেন। ছোট বড় সব ব্যাংকের গ্রাহকরাই জানাচ্ছেন, আতংকের কথা।
আমানত ফেরত দেয়ার সক্ষমতা না থাকলেও সেসব ব্যাংক যাতে দেউলিয়া না হয় সে চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এজন্য তাদের সহায়তাও দিচ্ছে কেন্দীয় ব্যাংক। তবে, ব্যর্থ হলে, মার্জার করে রক্ষা হবে আমানতকারীর স্বার্থ।