মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠছে ভোটের মাঠ। একে অপরের দিকে সমালোচনার তীর ছুঁড়ছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট বলে অভিহিত করেন কমলা। এবার ট্রাম্পও একই তীর ছুঁড়লেন। তিনি বললেন, আসল ফ্যাসিস্ট হচ্ছেন কমলা।
আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এক সপ্তাহের কম সময় আগে এখন শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্প ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক দলের কমলা হ্যারিস। তবে এরই মধ্যে, বেশির ভাগ রাজ্যে আগাম ভোট শুরু হয়ে গেছে।
জনমত জরিপের আভাস অনুযায়ী, আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এবারই দুই প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে।
গতকাল সোমবার ট্রাম্প দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য জর্জিয়ায় দুটি নির্বাচনী সমাবেশ করেন। সেখানে সমর্থকদের তিনি বলেন, সমালোচকেরা তাঁকে আধুনিক সময়ের ‘হিটলার’ বলেন।
আটলান্টায় হইচইপূর্ণ সমাবেশে এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘কমলা ও তাঁর প্রচারশিবির এখন নতুন করে একটি কথা বলতে শুরু করেছে, যিনিই তাঁকে (কমলাকে) ভোট দেবেন না, তিনিই নাৎসি। আমি নাৎসি নই। আমি নাৎসির বিপক্ষে।’
সম্প্রতি দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একসময়ের চিফ অব স্টাফ জন কেলি। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ট্রাম্পের আচরণ একজন ফ্যাসিবাদের সংজ্ঞার সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যায়। কেলি সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ ছিলেন।
কেলি আরও বলেছেন, ‘সে সময় ট্রাম্প একবার বলেছিলেন, ‘‘হিটলার কিছু ভালো কাজও করেছেন।’’ তিনি (ট্রাম্প) অ্যাডলফ হিটলারের মতো জেনারেল যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে দেখতে চান।
আটলান্টার সমাবেশে কমলাকে আক্রমণ করে তাঁকে ‘বিদ্বেষী’ বলেছেন ট্রাম্প। উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আসুন এবং ভোট দিন। আপনাদের সাহায্য নিয়ে এখন থেকে আট দিন পর (৫ নভেম্বর) আমরা কমলাকে পরাজিত করতে চলেছি। আপনারা জানেন, তিনি ভালো মানুষ নন।’
আরও বেশ কয়েক দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রে আগাম ভোট শুরু হয়ে গেছে। ৪ কোটি ৭০ লাখের বেশি মার্কিনি এরই মধ্যে ভোট দিয়েছেন। এ দলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও রয়েছেন। গতকাল তিনি ডেলাওয়ারে নিজ শহর উইলমিংটনের কাছে রীতিমতো লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন।
ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, মূল সমর্থকদের উজ্জীবিত রাখার পাশাপাশি যাঁরা এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি এমন ভোটারদের দলে টানা ট্রাম্প ও কমলার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে; বিশেষ করে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে। জনমত জরিপে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে।