সংযুক্ত আরব আমিরাতে ডক্টর হাসান মাহমুদ এবং এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বিশাল সম্পদের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। চট্টগ্রামের এই দুই এমপি মিলে আমিরাতের দুবাই, সারজা, আজমান এলাকায় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। কিভাবে তারা এ সম্পদের মালিক হলেন তা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নিতে অন্তবর্তীকালীন সরকাররের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রবাসী ব্যবসায়িরা ।
বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে চট্টগ্রামের দুই এমপির ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশী সম্পদের নানা তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর হাসান মাহমুদ ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী কোটি কোটি টাকা পাচার করে আমিরাতের বিভিন্ন শহরে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। তাদের এই অপকর্মে যোগান দাতা হিসেবে কাজ করেছে তাদের অনুসারী আমিরাতের কিছু প্রবাসী ব্যবসায়ী।
অনুসন্ধানে যানা যায়,আমিরাতে আজমানে প্রপার্টি বিজনেসে বিনিয়োগ করেছেন সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী ২ এমপি।আজমান ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার একাডেমী এলাকায় জে আর প্রপার্টি নামে ইতিমধ্যে ২৬ টি ভবন তৈরি করেছে ইউনুস সেন্টার নামে একটি কোম্পানি। কোম্পানিটির নতুন নামকরণ করা হয়েছে চট্টগ্রাম রিয়েল এস্টে নামে,ওই এলাকায় কোম্পানিটির প্রায় সাড়ে তিনশ একর জমিও কেনা হয়েছে ইতিমধ্যে। এসব কিছু দেখভাল করছেন ডক্টর হাসান মাহমুদের ব্যবসায়িক পার্টনার ও চট্টগ্রাম রিয়েল এস্টেট এর মালিক সিএনজি জসিম নামে এক প্রবাসী ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ডক্টর হাসান মাহমুদ এবং এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী আজমান ছাড়াও দুবাই, সারজা, ফুজিরা,আল আইনে বিত্তবান অসংখ্য প্রবাসীর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন। তাছাড়া নামে বেনামে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন এই ২ এমপি।শুধু আমিরাতে নয়, ওমান কাতার ও সৌদি আরবে বাংলাদেশ থেকে লুটপাটের টাকায় অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন সাবেক দুই এমপি।