বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা দেশে কার্যরত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য বিশেষ সুবিধা এনে দেবে।
২০২২ সালের ২৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ব্যাংক বহির্ভূত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ করে দিয়েছিল। এর মধ্যে প্রশিক্ষণ, স্টাডি ট্যুর, এক্সপোজার ভিজিট, সভা এবং সেমিনারে অংশগ্রহণসহ অন্যান্য কারণে বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। তবে, নতুন নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে যে, এখন থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দাপ্তরিক প্রয়োজনে অত্যাবশ্যকীয় বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন, তবে তা সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের বিদেশ ভ্রমণ নীতিমালা অনুযায়ী করতে হবে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণের জন্য তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে। তবে, যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিদেশ ভ্রমণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আলাদা নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সেই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কর্মীদের বিদেশ ভ্রমণের বিষয়টি এখন প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকেরপ্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ (ডিএফআইএম) সোমবার (২৪ মার্চ) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে, যা দেশের সব প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নতুন নির্দেশনা আনা হয়েছে আংশিকভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০২৩ এর ৪১(২) (ঘ) ধারার অধীনে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ পদক্ষেপের মাধ্যমে ব্যাংক বহির্ভূত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের বিদেশে পেশাদারি উন্নয়ন এবং অন্যান্য দাপ্তরিক কার্যক্রমের জন্য বিদেশ ভ্রমণ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে এবং বৈশ্বিক পরিসরে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়া, বাংলাদেশের আর্থিক খাতে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বিদেশ ভ্রমণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
বিশেষ করে ব্যাংক বহির্ভূত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ, বাজার পর্যালোচনা, উন্নত প্রযুক্তি, নীতি বিশ্লেষণ ইত্যাদি শিখতে বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি।
তবে, এ সব বিদেশ ভ্রমণ অবশ্যই যথাযথ অনুমোদন এবং নীতিমালার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। যাতে কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত বা অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়।
পড়ুন: শহীদ আবু সাঈদের বাবাকে আর্থিক সহায়তা দিলেন সেনাপ্রধান
দেখুন: আহত ও শহীদ পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আর্থিক সহায়তা শুরু |
ইম/