26 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৭, ২০২৪
spot_imgspot_img

আশুলিয়ায় শিশু সন্তানসহ স্বামী- স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা :

সাভারের আশুলিয়ায় ৪ বছরের কন্যা শিশুসহ এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আজ বৃহস্পতিবার( ১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে আশুলিয়ার উত্তর ভাদাইল এলাকায় নিজ বাড়ির চারতলার একটি ফ্লাটে সঙ্গহীন অবস্থায় তাদের দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তাদের নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসকরা তিন জনকেই মৃত ঘোষনা করেন। সন্ধ্যা সাড় ৫ টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতরা হলেন, এম এ হাসান বাচ্চু (৫৫), তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম (৩৫) ও তাদের শিশু মেয়ে মোছা. জান্নাতী (৪)।

স্থানীয়রা জানায়, বাচ্চু ও তার স্ত্রী-সন্তানসহ নিজ বাড়ির চারতলার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। পাশের কক্ষে তার ১৮ বছর বয়সী বড় ছেলে থাকতেন। বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ চারতলা থেকে তার বড় ছেলে বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করে। এসময় প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে বাচ্চুর দরজা ভেঙ্গে ভিতরে তিনজনের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদের তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রতিবেশী ফরিদা আক্তার বলেন, সকাল ১০ টার দিকে মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে বাসায় ফেরেন স্বপ্না বেগম। ওই ফ্ল্যাটে আগে থেকে বাচ্চু অবস্থান করছিলেন। স্বপ্না ছোট মেয়েকে নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে দরজা আটকে দেন। পরে পাশের কক্ষ থেকে তাদের বড় ছেলে কক্ষের দরজার নিচ দিয়ে ধোয়া বের হতে দেখে চিৎকার শুরু করে। এসময় আমি প্রতিবেশীদের সহায়তায় বাচ্চুর কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করি। বাচ্চু ও তার স্ত্রীসহ ছোট সন্তানকে বিছানার উপর পড়ে থাকতে দেখি। এসময় বিছানার জাজিম থেকে ধোয়া বের হচ্ছিল। পরে তাদের বাড়ির পাশের একটি হাসপাতালে নেয়ার আগেই তিনজন মারা যায়। তাদের মধ্যে কোন কলহ চলছিল। সেই কলহের জেরেই তারা মারা গেছে বলে ধারণা করছি। বাচ্চুর গালে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস বলেন, একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। মৃত্যুর কারন জানতে তদন্ত চলছে।

spot_img
spot_img

আরও পড়ুন

spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন