হাসিনা সরকার পতনের পর রাজধানীসহ সারাদেশে একের পর এক মামলা হয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে। ডিএমপির এক তথ্য বলছে, গেল এক মাসে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অন্তত আড়াইশোটির বেশি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
তবে এসব মামলা বিশ্লেষন করে দেখা যায়, অধিকাংশ মামলার এজাহার একই ধরনের। বাদী চেনেন না আসামী কে, আর আসামীও চেনেন না বাদীকে!
আমরাও জানতে চাই, কিভাবে হচ্ছে এসব মামলা? কারাই বা ইন্ধন দিচ্ছে। বেশ কয়েকটি মামলার অনুসন্ধানে নাগরিক টিভি হাজির যাত্রাবাড়ি এলাকায়।
গত ৪ সেপ্টেম্বর, যাত্রাবাড়ি থানায় আক্কাস আলী নিহতের ঘটনায় তারই ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে তৎকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনাসহ মোট ১১৫ জনের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অথচ মামলার অধিকাংশ আসামীকে চেনে না বাদী নিজেই।
এমন আরো কয়েকটা মামলা অনুসন্ধানে দেখা যায়, একই চিত্র । মিথ্যা পরিচয় দিয়ে কেউ কেউ করেছেন মামলা। অথচ নিহতের পরিবার জানেনা,বাদী কে? অভিযোগ আছে, এসবের পেছনে কাজ করছে যাত্রাবাড়ি থানা বিএনপির নেতা-কর্মীরাই ।
গণহারে এমন মামলায় প্রকৃত দোষীরা পার পেয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছে বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, গনমামলায় কাউকে উদ্দেশ্যমুলকভাবে হয়রানি করা হলে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের মুখোমুখি করার কথা বলছে পুলিশ।
গেল ১৫ বছর একইভাবে বিএনপিসহ বিরোধী মত দমনে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়েছে আওয়ামীলীগ সরকার। সেই একই পথে হাঁটছে অন্য দলগুলো? এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এসব মামলার ভবিষ্যত কী? আদৌ কী প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হবে নাকি পার পেয়ে যাবে তারা?