ইরানের বিরুদ্ধে কোনো হামলায় ইসরায়েলের পাশে যুক্তরাষ্ট্র থাকবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। ১৫ এপ্রিল সকালে গণমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত মুখপাত্র জন কিরবি জানান, যুক্তরাষ্ট্র কোনো বড় ধরনের সংঘাতে জড়াতে চায় না।
ইরানের হামলা নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র আহবান জানিয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে গেলে সেক্ষেত্রে নেতানিয়াহু যেন আরও সতর্ক হয়ে সিদ্ধান্ত নেন। ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের নিজস্ব বলেও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনী অন্তত ৮০টি ড্রোন এবং ৬টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দেয়। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরানের ৯৯ শতাংশ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সমর্থ হয়েছে।
ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর মধ্যপ্রাচ্য এখন পুরোদস্তুর যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে সর্তক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। নিরাপত্তা পরিষদের সভায় তিনি এ বিষয়ে সতর্কতা দেন। ১৩ এপ্রিল গ্রিনিচ মান সময় রাত আটটার দিকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ইরান। সিরিয়ায় ইরানী দূতাবাসে ইসরায়েলি হামলার অভিযোগে ইরান এ হামলা করেছে। এছাড়া ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে যেটা ছিলো ইরানের প্রথম কোনো সরাসরি হামলা। এছাড়া ৭ অক্টোবর থেকে জিম্মি মুক্তির দাবি ও ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলার জবাবে ফিলিস্তিনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছে ইসরায়েল।
ইরানের হামলার পর যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক করেছেন নেতানিয়াহু। বৈঠকে ইসরায়েলে হামলার জবাব হিসেবে ইরানকে কিভাবে জবাব দেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেকেই মত দিয়েছেন, ইরানকে জবাব দিতে দেরি হলে আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাবে ইসরায়েল। ইরানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশটিকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে রাখাও রয়েছে ইসরায়েলিদের ভাবনায়।