28 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, চিন্তায় জেলেরা

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে মা-ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে আগামীকাল সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে। আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ভোলার মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীসহ দেশের সব নদ-নদী ও সাগরে জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা।

এর ফলে আজ রবিবার (১২ অক্টোবর) রাত ১২টা থেকে জেলেদের নদীতে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে বেকার হয়ে পড়ছে ভোলার ২ লক্ষাধিক জেলে। এদিকে ২২ দিনের অভিযান সফল করতে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

ভোলা: মা ইলিশ রক্ষার জন্য নিষেধাজ্ঞা শুরুর ২ দিন আগে থেকেই নদী ও সাগর মোহনা থেকে ভোলার মাছ ঘাট গুলোতে ও তীরে ট্রলার ও নৌকা  ভিড়ছে। জেলেরা জাল গোছাচ্ছেন । আবার  কোথাও কোথাও দল বেঁধে জাল বুনছেন জেলেরা। সরকারের দেয়া নিষেধাজ্ঞা মানতে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তবে জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা বলছে, শুধু মা ইলিশ রক্ষা করলেই হবে না। জেলেদের পাশে সরকারকে দাড়াতে হবে। জেলেদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত যে চাল দেয়া হয় এতে তাদের সংসার চালানো সম্ভব নয়। চালের পাশাপাশি নগদ অর্থও দিতে হবে। অন্যথায় তারা ঋণের বোঝায় জর্জরিত হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়বেন।

এছাড়াও, নিষেধাজ্ঞার কারণে জেলেরা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বিপাকে রয়েছেন। তাই তাদের অনেকেই নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে যেন দেশের বিভিন্ন এনজিওগুলোর  সাপ্তাহিক যে কিস্তি রয়েছে তা বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। তারা আরও বলেন, এ কিস্তির টাকা পরিশোধ করার জন্যই অনেকে বাধ্য হয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরতে নামতে হয়।

সরকারি হিসেবে ভোলায় মোট নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা এক লাখ ৬৫ হাজার। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৪১ হাজার জেলে নিষেধাজ্ঞাকালীন সরকারি প্রনোদনার ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ‘১৩  অক্টোবর থেকে আগামী ২২ দিন মাছ ধরা বিক্রি ও পরিবহনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা সফল করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।’ নিষেধাজ্ঞার প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই জেলেদের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত চাল তাদের হাতে পৌছে দেয়া হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন