উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একের পর এক খুন হচ্ছে। এর পেছনে আধিপত্য বিস্তার ও অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণসহ অন্তত দশটি কারণ। যদিও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সক্রিয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর দাবি, ক্যাম্পে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে অপরাধীদের। উখিয়া থেকে মিছবাহ আজাদের পাঠানো তথ্য ও চিত্রে ডেস্ক রিপোর্ট।
গত সাড়ে সাত বছরে দুই শতাধিক খুনের ঘটনা ঘটেছে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এসব ঘটনায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই খুনের শিকার হয়েছেন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সক্রিয় নেতা, ক্যাম্পের মাঝি ও সাব মাঝি, ধর্মীয় নেতা ও স্বেচ্ছাসেবক।
আর এসব খুনের নেপথ্যে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, অস্ত্র ব্যবসা, আধিপত্য বিস্তার, আরসা ও রোহিঙ্গা সলিডারিট গ্রুপগুলোর দন্দ চাঁদাবাজিসহ রয়েছে নানা কারণ।
স্থানীয় প্রতিনিধিরা বলছেন, রোহিঙ্গারা এনজিওতে চাকরি করে ও সারা বাংলাদেশে অবাধ বিচরণের মাধ্যমে বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়েছে, তারা বৈধ ও অবৈধভাবে আয়ের সুযোগ পাচ্ছে।
যার কারণে তারা সহিংস কার্মকান্ড ও অস্থিরতা তৈরি করছে।
পুলিশ বলছে, খুনের ঘটনাগুলো মূলত ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই ঘটছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, চলতি বছরের ১৫ মে পর্যন্ত কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে খুন হয়েছেন ১৭ জন। তার আগের বছর ২০২৩ সালে খুন হন ৭৪ জন।