প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়জয়কার। ১৩৯টির মধ্যে শতাধিক উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্য থেকেও জিতেছেন কয়েকজন। আর বিএনপির সঙ্গে যুক্ত সাতজন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে এক হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আগেই চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন করে মোট ২০ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
বগুড়ার তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগের জয়জয়কার। সারিয়াকান্দিতে সাংসদ পুত্র সাখাওয়াত হোসেন সজল, সোনাতলায় সাংসদের ছোটভাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লিটন এবং গাবতলীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য অরুণ কান্তি রায় সিটন নির্বাচিত হয়েছেন।
বাগেরহাটের রামপালে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন। কচুয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ মেহেদি হাসান বাবু।
গাজীপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন সদ্য বহিস্কৃত গাজীপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি ইজাদুর রহমান চৌধুরী মিলন। কাপাসিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পুন:নির্বাচিত হয়েছেন এডভোকেট আমানত হোসেন খান। কালিগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন আমজাত হোসেন স্বপন।
টাঙ্গাইলের মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বর্তমান চেয়ারম্যানরা পরাজিত হয়েছেন। ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার। আর মধুপুরে বিজয়ী হয়েছেন ইয়াকুব আলী।
মাদারীপুর উপজেলা নির্বাচনে চাচা হেরে গেছেন ভাতিজার কাছে। সদর উপজেলায় শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খানের কাছে হেরে গেছেন চাচা পাভেলুর রহমান শফিক খান।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন দেওয়ান সাইদুর রহমান। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক। সিংগাইর উপজেলায় প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়েদুল ইসলাম।