জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ফাঁসের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর কাফরুল থানায় সংক্ষুব্ধ এক ব্যক্তি সাইবার নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে জনগণের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বিক্রি করেন।
জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে, ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেডকে এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসার অনুমতি দেন অভিযুক্তরা। যে তথ্য দেশ ও দেশের বাইরের প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়। তৃতীয়পক্ষের কাছে তথ্য পাচার হওয়ায় জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। তথ্য বিক্রির প্রায় বিশ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগও আনা হয় মামলায়।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। এরপরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে কিভাবে পরিচয় অ্যাপের মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের তথ্য বিক্রি করে নির্বাচন কমিশন ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্ণধার সজীব ওয়াজেদ জয়ের বন্ধু। এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে ডিজিকনকে ব্যবসার অনুমতি দেয়া হয় ২০১২ সালে। এদিকে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে একাধিক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। একের পর এক মামলায় রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে তাকে। ৮ অক্টোবর আলাদা আলাদা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে ২৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।