বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ শহর অভিযানে নামছে ইসরায়েলি বাহিনী। নিরাপদ অঞ্চলে সরে যেতে বলা হয়েছে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের।
ইসরায়েলের হামলায় টিকতে না পেরে, অন্যান্য অঞ্চল থেকে শহরটিতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ১৪ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। এখন সেখানেও হামলা করতে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রতিক্রিয়ায় হামাস হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেছে, এর কঠিন পরিণতি সইতে হবে ইসরায়েলিদের।
হামাসের রকেট হামলায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পরিচালিত হামলায় তিন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরো ১১ জন।
স্থানীয় সময় রোববার ইসরাইরের ভেতরে এই হামলা চালানো হয়। হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেড এই হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছে। এদিকে, ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের রাফাহতে শিশুসহ অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। হামাসের রকেটে হামলার পর ইসরায়েলের এই বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় এক পরিবারের সাতজন এবং অন্য পরিবারের নয়জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ, পুলিশের তল্লাশি
ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। জেরুজালেমের একটি হোটেল কক্ষ, কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করত কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সাদাপোশাকে পুলিশ সদস্যরা একটি হোটেল রুমে ক্যামেরা ও অন্যান্য সরঞ্জাম ভেঙে ফেলছেন। এর আগে গতকাল রোববার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় গাজা যুদ্ধ চলা অবস্থায় আল জাজিরার স্থানীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সংবাদমাধ্যমটিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। ইসরায়েলের এ কর্মকাণ্ডকে ‘অপরাধমূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখছে আল জাজিরা।