এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার কসাই জিহাদকে বারাসাত আদালতে তোলা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেছে কলকাতা সিআইডি। এদিকে, রাতভর অভিযান চালিয়েও উদ্ধার করা যায়নি এমপি আনারের খণ্ডিত মরদেহ।
গত কয়েকদিন ধরে আলোচনায় কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার খুনের ঘটনা। অবশেষে গত ২২ মে জানা যায়, খুন হয়েছেন এমপি আনার।
এরপর থেকেই মূলত নড়েচড়ে বসেছে দুই দেশের গোয়েন্দা পুলিশ। বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার নাগরিক টিভির হাতে এসেছে কিছু সিসিটিভি ফুটেজ। এতে দেখা যায়, ১৩ মে কলকাতায় নিউটাউনের আক্তারুজ্জামান শাহীনের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে ঢুকছেন চরমপন্থি পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আমান উল্লাহ ও তার সহযোগী ফয়সাল।
গোয়েন্দা পুলিশের বরাতে জানা যায়, ঘাতকরা এমপি আনারকে হত্যার পর পলি ব্যাগে ভরে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়।
এদিকে, আনার হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি। জিহাদ হাওলাদার ওরফে জুবের নামে ২৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলার অধীন দিঘোলিয়া থানার বারাকপুর গ্রামে। জিহাদ কসাই নামে পরিচিত ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর, সকালে তাকে বারাসত জেলা ও দায়রা আদালতে নেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি তার রিমান্ডের আবেদন করেছে।
তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি জিহাদকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তার বক্তব্য যাচাই করবে এবং তাকে সঙ্গ নিয়েই খুন হওয়া সাংসদের বিচ্ছিন্ন শরীরের অঙ্গগুলি উদ্ধারে অভিযান চালাবে।