দেশের দক্ষিণের সীমান্ত জেলা কক্সবাজার। আর তারই দুই উপজেলা উখিয়া-টেকনাফের সীমান্তবর্তী ১৯টি পয়েন্টে সক্রিয় মাদক ও অস্ত্র চোরাকারবারিরা। বিভিন্ন সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাকি দিয়ে মাদক ও অস্ত্রের চালান প্রবেশ করলেও আটকা পড়েন দায়িত্বে থাকা চৌকস ‘এ্যাডিশনাল এসপি মো. হাফিজুর রহমানের হাতে। এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গত তিন বছর ধরে মাদক, অস্ত্রসহ নানা চোরাকারবারিদের আতঙ্কের কারণ ছিলেন। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাদকের ঢল ঠেকিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। সেজন্য মিলেছে পুরস্কারও।
র্যাব-১৫ এর টেকনাফ সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বরত এ্যাডিশনাল এসপি মো. হাফিজুর রহমান সফলতার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
র্যাব সূত্র মতে অভিযানে উদ্ধার, ২০২২ সালে ইয়াবা ১০, ২১০৫০ ইয়াবা যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৩০, ৬৩, ১৫০০০ টাকা। এছাড়া ওই বছর ৪৯৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ বা আইস, ৩৩৭.৯ লিটার বিদেশি মদ, ৬৩৭ ক্যান বিয়ার, ২ টি একনলা বন্দুক, ১ টি এসএমজি, ২টি এলজি, একটি পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলিসহ আসামি গ্রেফতার করেন ১৬৫ জন।
২০২৩ সালে ২৪, ০০৩৩৩ ইয়াবা যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৭২, ০০৯৯৯০০ টাকা। ২৬ কেজি ক্রিস্টাল মেথ বা আইস যার বাজার মূল্য ১৩০০০০০০০০০ টাকা। ১৯২.৪৯ লিটার বিয়ার, ৩৯৩.৭ লিটার মদ, ১৬ টি এলজি, ৪টি বিদেশি পিস্তল, ১টি শর্টগান, ১০টি একনলা বন্ধুকসহ আসামি গ্রেফতার করেন ২৫৭ জন।
২০২৪ সালে ১১৭০৯৯৫ পিস ইয়াবা যার মূল্য ৩৫, ১২৯৮৫০০ টাকা। ৯. ৫৩০ গ্রাম আইস যার মূল্য ৪৭৬৫০০০০০ টাকা। এছাড়া- ৪০টি অস্ত্র, ১১৮ রাউন্ড বুলেট, ৩৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ আসামি গ্রেফতার করেন ১৪৫ জন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত দুই বছরের অধিক দায়িত্ব নেবার পর থেকে সরকারের দেয়া মতে অস্ত্র ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্স নীতি অনুসরণ করে কাজ করছি। টেকনাফ-উখিয়ায় বিভিন্ন পাহাড়ে অনেক অভিযান চালিয়ে অপহরণকারি, মাদক ও অস্ত্র কারবারিদের আটক করেছি, তাই আমার শত্রু হবে এটি স্বাভাবিক। কে কি ভাবলো কে কি বলছে তা আমার কাছে গুরুপ্ত পূর্ণ নয়। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল,আমি যতদিন আছি ততদিন অপহরণকারি, মাদক ও অস্ত্র কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাবো।’