পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। অনেকেই পহেলা বৈশাখ করতেও কক্সবাজারে গেছেন। দীর্ঘ একমাস পর হাসি ফুটেছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে।
দেশের বৃহত্তম ও অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান কক্সবাজার। এক সাথে পাহাড়-সমুদ্র, নদী ও ঝরনা দেখার বিরল সুযোগ মেলে কক্সবাজারে। ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের শীর্ষে থাকে ১৫৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ এই সমুদ্রসৈকত।
এবার ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি এক সাথে পেয়ে যেন অনেকেই সুযোগটি লুফে নিয়েছেন। ছুটে গেছেন দীর্ঘ ছুটিতে সাগর পাড়ে অবসর যাপনে। পর্যটকদের আপ্যায়নে নান্দনিক সাজে সাজানোর পাশাপাশি সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস ও রিসোর্টগুলো।
দর্শনার্থীদের আরেক গন্তব্য অনিন্দ সুন্দর সমুদ্র সৈকত কুয়াাকাট। স্রোত নেমেছে সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা সৈকতে। এখানকার গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন পল্লী, ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন ও সৈকতের ঝাউবাগানসহ অধিকাংশ পর্যটন স্পট পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে।
হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, ৬০ শতাংশ কক্ষ ইতোমধ্যে ভাড়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, সামনের সপ্তাহজুড়ে পর্যটকদের সংখ্যা অব্যাহত থাকবে। পর্যটন এলাকায় সব ধরনের অপ্রতিকার ঘটনা ঠেকাতে পর্যাপ্ত ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত আছে। আবহাওয়াসহ সব ঠিক থাকলে, এবার পর্যটকদের ভ্রমণ ভালো হওয়ার পাশপাশি ব্যবসাও ভাল হওয়ার আশা করছে সংশ্লিষ্ট সবাই।