কালো টাকার মালিকদের দায়মুক্তির সুযোগ রেখে, আগামীকাল শুরু হচ্ছে আরেকটি অর্থবছর। এ প্রসঙ্গে সমালোচনা আর বিরোধিতা, উপেক্ষাই করে গেলেন অর্থমন্ত্রী। সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে কর বসাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে পিছু হটেছেন। জাতীয় সংসদে পাস হলো, ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট।
গত ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট, জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আকার প্রস্তাব করেন প্রায় ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের বাজেট থেকে প্রায় দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি।
এবারের বাজেটের নাম- টেকসই উন্নয়নের পরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন যাত্রা। জিডিপি অগ্রগতির লক্ষ্য পৌনে সাত শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতি ধরে রাখার টার্গেট সাড়ে ৬ শতাংশে। গতকাল পাস হয় অর্থবিল, যা বাজেটের আর্থিক ও করসংক্রান্ত নীতি।
সকালে বাজেট পাসের প্রক্রিয়ায় মন্ত্রীরা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ব্যয় নির্বাহের যৌক্তিকতা তুলে ধরে ৫৯টি মঞ্জুরি দাবি সংসদে উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো কণ্ঠভোটে পাস হয়।
মঞ্জুরি দাবিগুলোর তিনটির যৌক্তিকতা নিয়ে বেশকজন এমপি ছাঁটাই প্রস্তাব তুলে ধরেন। আইন, শিক্ষা ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত মঞ্জুরি দাবি নিয়ে তারা আলোচনা করেন।
ছাঁটাই প্রস্তাবগুলোর পর কথা বলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা। বলেন, বরাদ্দ না পেলে, উন্নয়ন হবে না সংশ্লিষ্ট খাতগুলোর।
অর্থমন্ত্রী পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় বরাদ্দ করেছেন প্রায় ৫ লাখ ৭ হাজার কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় ২ লাখ ২ লাখ ৮১ হাজার কোটি। ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব প্রাপ্তির লক্ষ্য। সামগ্রিক ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা।
সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়িয়ে নির্দিষ্টকরণ বিল-২০২৪ পাস করেন। ফলে অনুমোদিত হয় বাজেট, যা আগামীকাল থেকে কার্যকর।