কিংস্টন টেস্টে তাইজুলের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং আর জাকের আলী অনিকের বীরোচিত ব্যাটিং সবার নজর কেড়েছে। ক্যারিবীয়দের শতাধিক রানে হারানোর অন্যতম কারিগর তারা। এই জয়ের মধ্য দিয়ে ১৫ বছর পর ক্যারিবিয়দের ঘরের মাটিাতে হারালো বাংলাদেশ। আগের জয়টি এসেছিল ২০০৯ সালে।
কিংস্টন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যাটারই বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ। সেখানে ব্যতিক্রম ছিল জাকের আলী অনিক। ব্যাটারদের হয়ে সম্ভাবনার মশাল জ্বালিয়ে রেখেছিলেন এই ক্রিকেটার।
ক্যারিয়ারে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামা জাকের ক্যারিবীয় বোলারদের রীতিমতো শাসনই করেছেন বলা চলে। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলে একাই লড়াই করে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। খেলেছেন ওয়ানডে স্টাইলে। তবে মাত্র ৯ রানের জন্য মিস করেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। তার ১০৯ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৮ চার ও পাঁচটি ছয়ের মার। ম্যাচ জেতায় নিশ্চয়ই সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ ঘুচবে জাকের আলী অনিকের।
জাকের ছাড়াও বাংলাদেশের জয়ে অন্যতম ভূমিকা তাইজুলের। ক্যারিবীয় ব্যাটারদের মাথা ব্যথার কারণ হয়েছেন এই স্পিনার। ব্র্যাথওয়েট-হজদের মতো পরীক্ষিত ব্যাটার বোকা বনেছেন তার স্পিনে।
তাইজুলের বোলিংয়েই জয়ের রেখা পরিষ্কার হয়েছে বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ইনিংসে একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন এই বোলার। ফলে ১৫তম বার ৫ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। তাছাড়া প্রথম ইনিংসে একটি উইকেট শিকার করেছিলেন তাইজুল। বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে ৩০রান করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
পুরো ম্যাচে তাইজুল ছাড়াও বোলিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন পেসার নাহিদ রানা ও তাসকিন আহমেদ। সিরিজ সেরাও হয়েছে তাসকিন।
অধিনায়ক হিসেবে কিংস্টন টেস্ট এর জয়ে উচ্ছাসিত মেহদী হাসান মিরাজ।
এনএ/