কুড়িগ্রামসহ মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত আছে। নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপরে বইছে। লোকালয়ে ঢোকা পানিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচল ও দৈনন্দিন কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্চে। এছাড়াও দেশের বিভিন্নস্থানে ৯টি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে অবস্থান করছে।
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপূত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত তিনদিন ধরে বন্যার পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। দুধকুমার নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় নাগেশ্বরী উপজেলার দুটি পয়েন্টে বেরিবাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বাড়িঘর রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের খাবার ও গবাদিপশুর খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার পানি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগের আশংকা করছে মানুষ।
এদিকে চলমান বন্যায় সরকারিভাবে ৫৬ হাজার ৬৮০জন মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
জামালপুরে নদ-নদীর পানি কমে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি ও সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে নানা অভিযোগ আছে।
সিলেট অঞ্চলে নেমে গেছে বন্যার পানি। উজানে ও দেশের ভেতরে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কমে গেছে নদ-নদীর পানি। সুরমা, কুশিয়ারা ও জুড়ীসহ সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।