দেবাশীষ দত্ত, কুষ্টিয়া
ক্ষতির ভার বহন করেই থেমে গেছে কুষ্টিয়া চিনিকল। ২১৬ একর জায়গা নিয়ে ১৯৬১ সালে কুষ্টিয়া সুগারমিলের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম থেকে কারখানায় চিনি উৎপাদনে যায় কর্তৃপক্ষ। ধীরে ধীরে সাধারন মানুষের কাছে বাড়তে থাকে এর জনপ্রিয়তা। আর সেই সাথে কারখানায় বাড়তে থাকে জনবলের সংখ্যা। তবে এখন এই প্রতিষ্ঠানটি গুনছে লোকসানের সংখ্যা। বিভিন্ন কারনে ধস নেমেছে এই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি।
বেতন-ভাতা, মজুরি ও বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ের বকেয়াসহ চিনিকলে দায়দেনা জমেছে ২৪ কোটি টাকা। লোকসানের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি কোনরকম চললেও হঠাৎ করেই বন্ধ স্থগিত হয়ে যায় আখ মাড়াই কার্যক্রম । এই ঐতিয্যবাহী চিনিকল এক সময় ছিল শ্রমিকের শোরগোল ও মেশিনের শব্দে মুখরিত। এখন সুগারমিলের আখ মাড়ায় স্থগিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছে প্রায় ৪০ হাজার আখচাষীসহ শত শত শ্রমিক-কর্মচারীরা। এমন আচমকা কারখানা বন্ধ হওয়ায় না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা। স্বাভাবিক জীবন-যাপনের জন্যে আবারও মিলটি চালুর দাবী সাধারন কর্মচারীদের।
শ্রমিকদের কাজের উল্লাসে মুখরিত চিনিকল এখন নীরবতায় আচ্ছন্ন। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসহায়ত্বের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন চিনিকলের কর্মচারীরা। সরকারের কাছে দাবী তাদের পূনরায় আখ মাড়াইসহ আবার প্রতিষ্ঠানটি নতুন করে চালু করার। সরকারের নির্দেশনা পেলে আবারও চালু হতে পারে প্রতিষ্ঠানটি, বলছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
এই বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছেন, সরকারি সিদ্ধান্তে আখ মাড়াই কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে এবং মেশিনারীজগুলো ছিলগালা করে রাখা হয়েছে। সরকারী নির্দেশনা পেলে আবারও চালু হতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। তবে সাধারন মানুষের দাবী বন্ধ চিনিকলটি চালু করে পরিকল্পনামাফিক চালালে অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বি হবে এ অঞ্চলের মানুষ।