আজ রাতে দুবাই থেকে ঢাকায় ফেরার কথা ছিল সাকিব আল হাসানের। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগামী ২১ অক্টোবর মিরপুর টেস্টে মাঠে নামার কথা ছিল তারকা এই অলরাউন্ডারের। তবে সেটি এখন হচ্ছে না। নিরাপত্তা শঙ্কায় থাকায় আপাতত দেশে ফিরছেন না তিনি।
সাকিবের দেশে না ফেরার ইস্যুতে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে দেশে না আসার পরামর্শ দিয়েছি। বিদায়ী টেস্ট খেলতে মিরপুরে আসবেন না সাকিব আল হাসান।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিদায়ী টেস্ট খেলার কথা থাকলেও গত কয়েক দিন ধরে কঠোর অবস্থান নিতে দেখা গেছে সাকিব বিরোধীদের। মিরপুরে স্টেডিয়াম এলাকায় মিছিল করছে তারা। স্টেডিয়াম জুড়ে হয়েছে দেয়াল লিখন। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাকিবের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে।
আর এই পরিস্থিতিতে দেশে ফিরলে সাকিবের নিরাপত্তা নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি ‘জুম মিটিং’ করে বিসিবি। সেই মিটিংয়েই দেশে ফিরতে সাকিবকে নিষেধ করা হয়। পরে বিসিবির পরামর্শ অনুযায়ী ফ্লাইটও বাতিল করে দিয়েছেন সাকিব। যার মানে- আজ আর দেশে ফেরা হচ্ছে না বাঁহাতি অলরাউন্ডারের।
বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় সাকিবের না আসার সম্ভাবনাই বেশি। এমন কি তিনি নিজেই জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে দেশে ফিরছেন না। দুবাই থেকেই ফিরে যেতে পারেন দুবাইয়ে। কিন্তু এরপরও তাকে খেলতে না দিতে বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিক্ষোভ করছেন মিরপুরের ছাত্র-জনতা। এদিন মিরপুর স্টেডিয়ামের মূল মাঠ ও একাডেমি মাঠে অনুশীলন করেছে সফরে আসা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। দলটির নিরাপত্তার স্বার্থে মিরপুর ২ থেকে প্রশিকা মোড় পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করে রাখে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী।
সাকিবের বিরুদ্ধে লেখা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিরপুর স্টেডিয়ামে হাজির হন তারা। বিক্ষোভের শুরুতে হয় দেয়াল লিখন। যেখানে বাংলাদেশ অলাউন্ডারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এখন সাকিবের বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। আল মাসনূন নামের একজনের নেতৃত্বে চার-পাঁচজন বিসিবি কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। বিসিবির কাছে তাদের চাওয়া, সাকিবকে যেন দেশের মাটিতে খেলতে না দেওয়া হয়। তাকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। বাদ না দিলে হরতাল ও অবরোধের ঘোষণা দেবেন তারা।