রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় চট্টগ্রামের সম্মিলিত সনাতনী জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার ইস্যুতে দেশ যখন উত্তাল। বিষয়টি গড়িয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে । তখন অনেক মনেই প্রশ্ন উঠছে ইস্কনের পরিচয় নিয়ে। তা হলে কী কাজ করেন এই সংগঠনটি। বিশ্বের কোথায় কোথায় তাদের কার্যক্রম রয়েছে।
চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভূর গ্রেপ্তার, জামিন নামঞ্জু, ভারত- বাংলাদেশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি, বিজেপির সীমান্ত অবরাধের ঘোষণা, আইনজীবি হত্যার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নিন্দায় ও প্রতিবাদে পুরো দেশ যখন টালমাটাল তখন হাইকোর্ট এর এমন মন্তব্য যেন ভিন্ন মাত্রা যোগ করলো।
জনসেবা, শিক্ষা, ধর্ম ও আধ্যাত্বচর্চার উদ্দেশ্যে ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কেই এর যাত্রা শুরু হয়। পুরো নাম ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস, সংক্ষেপে বলা হয় ইস্কন। মূলত কৃষ্ণের আদর্শে হিন্দু সমপ্রদায়কে উজ্জীবিত করা ও বিশ্বের সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পুজা অর্চনার ব্যবস্থা করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
এশিয়ায় ৮০ টি, ইউরোপে ১৩৫ টি, আমেরিকায় ৫৬ টি অনুমোদিত ইস্কন কেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি ১৫৯ টি ইস্কন কেন্দ্র রয়েছে। বিশ্বে ১০০ টিরও বেশী দেশে সক্রিয় আছে এই সংঘটি। বাংলাদেশে সত্তরের দশকে এর যাত্রা শুরু হয়। ঢাকার স্বামীবাগ মন্দির ইস্কনের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ।
ইস্কন বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি ফুড ফর লাইফপ্রজেক্ট এর জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। এছাড়াও সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ের পক্ষে তাদের দৃঢ় অবস্থান দেখা যায়।
বাংলাদেশে চট্টগ্রামে ২০০৯ এ ইস্কন মন্দির হামলা, ২০১৫ ও ১৮ তে রথযাত্রায় হামলা, ২০২১ এ কোরআন আবমাননার দায়ে নিপিড়নের শিকার হয় সংঘটি।
কিছু দেশে ইস্কন নিষিদ্ধ ও এর কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। কাজাখস্তান ও তুর্কেমেনিস্তানের মতো মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে ইস্কনের ওপর চলে কঠোর নজরদারি।
টিএ/