কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রাণহানির ঘটনা পরিস্থিতিতে জটিল করেছে, বাড়িয়েছে সংকট। একের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হচ্ছে। হল ছাড়তে বলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের। বন্ধ করা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ও। স্থগিত হয়েছে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাও।
গতকাল উত্তাল একটা দিন পার করেছে বাংলাদেশ। কোটা সংস্কারের দাবিতে, দেশজুড়েই অস্থির পরিস্থিতি। আন্দোলন দমনে রাজনৈতিক ও সরকারি বল প্রয়োগ পরিস্থিতিতে করেছে জটিল।
ঢাকাসহ জেলায় জেলায় সংঘর্ষ আর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংর্ঘষ হয় গতকাল। তিন পক্ষের সংঘাতে ঢাকায় ২, চট্টগ্রামে ৩ ও রংপুরে প্রাণ গেছে অন্তত ১ জনের। আহত দুইশোর বেশি মানুষ।
দেশের সব শিক্ষাঙ্গনই এখন থমথমে। এমন অবস্থায়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা পেয়ে, একের পর বিশ্ববিদ্যায়লসহ বন্ধ ঘোষণা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়েছে হল ছাড়ার নির্দেশ।
স্কুল-কলেজেও অনির্দিষ্টকালের ছুটি। স্থগিত হয়েছে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা। আর দেশের ৮টি সিটি করপোরেশন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ও ছুটিতে রাখতে বলা হয়েছে।
আন্দোলন মোকাবিলায় ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি, মোতায়েন হয়েছে বিজিবি। সক্রিয় রয়েছে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও।
ছাত্রলীগের অনেক কর্মীও যুক্ত আছেন কোটা আন্দোলনে। তাছাড়া হলগুলোতে আন্দোলকারীরা একট্টা থাকায়, কিছুটা চাপে ছাত্র সংগঠনটির কর্মীরা। ক্ষমতাসীন দলও রয়েছে চাপে।