17 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলন: আজ সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যা এবং ঢাবি প্রশাসনের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা।

গতকাল বুধবার (১৭ জুলাই) রাত পৌনে ৮টার দিকে সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ হাসপাতাল ও জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে এবং রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোনো যানবাহন চলবে না।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব, সোয়াটের ন্যাক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে ১৮ জুলাই সারা দেশে ‘কমপ্লিট  শাটডাউন’ ঘোষণা করছি।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘শুধুমাত্র হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ব্যতীত কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না। সারা দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, ১৮ জুলাইয়ের কর্মসূচি সফল করুন।’

প্রসঙ্গত, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন গত মঙ্গলবার বেশ সহিংস রূপ নিয়েছে। সেদিন ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ৬ জন মারা যান। কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীও আহত হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে। এছাড়াও, বন্ধ ঘোষণা করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হল ও ক্যাম্পাস ত্যাগ করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। গতকালও হলগুলোর ভেতরে অবস্থান করেছেন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। পরে বেশিরভাগ হল থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বের করে দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালত থেকে ছাত্রসমাজ ন্যায়বিচার পাবে এবং তাদের হতাশ হতে হবে না।’ কিন্তু এরপর দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা করেছে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন