22 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলন: সংঘর্ষে নিহত ৬

কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় দুজন, চট্টগ্রামে তিনজন ও রংপুরে একজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে আরও কয়েক শ জন আহত হয়েছেন।আজ কোটা বিরোধীদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের মধ্যে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখনো অনেক জায়গায় সংঘর্ষ চলছে।

আজ দুপুর তিনটায় চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। এ সময় কয়েকজন অস্ত্রধারীকে গুলি করতে দেখা গিয়েছে। শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে হাতবোমার বিস্ফোরণও হয়। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন।

চট্টগ্রামে নিহত তিনজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন মো. ফারুক (৩২) ও মো. ওয়াসিম (২২)। ফারুক একটি আসবাবের দোকানের কর্মচারী এবং ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বলে জানা গিয়েছে। অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি। এ ছাড়া আহত অন্তত ২০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এছাড়াও, আজ বিকেলে রাজধানীর ঢাকা কলেজের সামনে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

আজ বিকেলে ঢাকা কলেজের সামনে পিটুনিতে গুরুতর আহত একজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সন্ধ্যায় সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় আরেকজনকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই তরুণ আহত অবস্থায় ঢাকা সিটি কলেজের সামনে পড়ে ছিলেন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাশের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে তার মৃত্যু হয়।

রংপুরেও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত আবু সাঈদ (২২) রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলন সমন্বয় কমিটির সদস্য ছিলেন।

আজ দুপুর দুইটায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আহত হন আবু সাঈদ। পরে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশিকুল আরেফিন।

প্রসঙ্গত, চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’। প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা বা নাতিপুতি’ বলা হয়েছে অভিযোগ করে রবিবার রাত থেকে প্রতিবাদ শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন