ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ দিয়ে বড় নজির তৈরি করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। গত তিন বছরে ৮০ হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি করেছে ব্যাংকটি। জামানতবিহীন এ ঋণ-এখন ব্যাংকিং খাতে নতুন মডেল। জামানত ছাড়া ক্ষুদ্র ঋণের পরিমাণ এখন সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। আর ব্যাংকের মোট ঋণের অর্ধেকের বেশি গেছে ছোট উদ্যোক্তাদের কাছে। ব্যাংকটি, চলতি বছরই এক লাখ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরির মাইল ফলক ছুতে চায়।
ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে ঘাম ঝরে ক্ষুদ্র কিংবা ছোট উদ্যেক্তাদের। ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে, জুতা ক্ষয় করেও শহর কিংবা প্রান্তিক পর্যায়ের এসব উদ্যোক্তা তহবিল পান না। এ অনীহার চিত্র পুরো ব্যাংকিং খাতের। তবে, উল্টোপথে হাটছে বেসরকারি খাতের এনআরবিসি ব্যাংক। চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকটির যেন মূল্য লক্ষ্য-ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোক্তাদের অর্থের জোগান।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলছে, চলতি বছরই এক লাখ কর্মসংস্থান তৈরি তাদের লক্ষ্য। ব্যাংকটি বলছে, তাদের আমানত এখন ১৮ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। ঋণ বিতরণ দাড়িয়েছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর বিতরণ করা ঋণের প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকাই ক্ষুদ্র ঋণ। জামানতবিহীন এ ঋণের অংশও ছোট নয়।
৫০ হাজার থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত তহবিল পাচ্ছেন, উত্তরের প্রান্তিক মানুষরা। দেশের প্রত্যন্ত ও হাওড় এলাকার মানুষের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব চালু করেও নজির গড়েছে প্রবাসীদের মালিকায় গড়ে ওঠা ব্যাংকটি। এখানেও সঞ্চয় গড়ে তুলছেন মানুষ, আবার সুযোগ পাচ্ছেন ঋণের।