খাস জমিতে কারখানা গড়েছে করতোয়া স্পিনিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান। গাজীপুরের সফিপুরের কারখানাটি ভূমি অফিসের নথিতে অর্পিত সম্পত্তি। সরকারের নিয়ম না মেনেই প্রতিষ্ঠানটি কারাখানা গড়েছে কৃষি জমি আর সংরক্ষিত বনের মাঝে। স্থানীয়রা বলছে শিল্প কারখানাটি গ্যাস সংযোগ পাওয়ার অপেক্ষায়। আশেপাশে বনের জমি থাকলেও কারখানাটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে, বলছে বন বিভাগ।
করতোয়া স্পিনিং মিলস লিমিটেড, গাজীপুরের সফিপুরে স্পিনিং কারখানা। এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় হাজার মানুষের। অর্থনীতিতেও অবদান রাখছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিলো। তবে, প্রশ্ন কারখানাটির জমি নিয়ে। সরকারি নথিতেই এর বড় একটি অংশই খাস জমিতে। সফিপুর ভূমি অফিসের নথিতে কয়েকটি দাগ এখনো অর্পিত সম্পত্তি।
আমরা সরেজমিনে যাই প্রায় ৬/৭ একরের কারখানা এলাকায়। খুজে বের করি জমির মূল মালিকদের। জানা যায়, এসব জমির মূল মালিক ছিলেন, বর্তমানে স্থানীয় এক পৌর কাউন্সিলরের পূর্বপুরুষরা।
আহাদ আলী, তিনি কালিয়াকৈর পৌর কাউন্সিলর। ক্যামেরায়, খাস জমির প্রসঙ্গটি অস্বীকার করেন, পরে অবশ্য বলেন, কিছু অংশ খাস থাকতে পারে।
করতোয়ার পাশেই জমজম ম্পিনিং মিল, তার অংশেও পড়েছে খাস জমি। অবশ্য স্থানীয়রা বলছেন, দুই কারখানা এক সময় একই ব্যবস্থাপনায় চলেছে।
করতোয়া তার কারখানা সম্প্রসারণ করছে কালিয়াকৈরের কুয়ারচালায়, নাম করতোয়া গ্রিন স্পিনিং মিলস। কিন্তু গুরুতর অনিয়ম আর সরকারের নির্দেশনা অমান্য সেখানে। কৃষি জমিতে গড়া হয়েছে কারখানাটি।
কালিয়াকৈর রেঞ্জের বন কর্মকর্তা অবশ্য বলছে, কারখানাটির বন ঘেষে, আশেপাশে বনের জমি, কিন্তু কারখানার মূল জমি ব্যক্তি মালিকানার।
কেবল কৃষি জমিই নয়, বন আর বন ঘেষে নতুন এ কারখানা। সারি সারি গড়ে ওঠা শিল্প এলাকা থেকে এ কারখানাটি প্রায় ১০ কিলোমিটার ভিতরে। কারখানাটিতে এখন বিকল্প জ্বালানিতে উৎপাদন চলছে, তবে তিতাস থেকে চাইছে গ্যাস সংযোগ।
আমরা কথা বলি গাজীপুরের তিতাস অফিসে। বন আর কৃষি ভূমিতে সরকার কারখানা চায় না, সিদ্ধান্ত গ্যাস সংযোগ পাবে না এমন কারখানা। এমন নির্দেশনা খোদ সরকারপ্রধানের। এরপর সরকারের অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটিতেও এমন সিদ্ধান্ত হয়, তবে কেন তোড়জোর।
করতোয়া কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে গেলেও কারো সঙ্গে কথা বলা যায়নি। পরে মোবাইলে ফোন করলেও পাওয়া যায়নি।
এ দিকে, নতুন এ কারখানাটির গ্যাস সংযোগ দেয়া হচ্ছে তালনা নামের একটি কারখানা থেকে, আপত্তি তাদেরও। তালহা প্রায় দেড়শো কোটি টাকা বিনিয়োগ করে নিজস্ব উদ্যোগে গ্যাস সংযোগটি নেয় তাদের কারখানায়।