খুলনা রেলস্টেশনের ডিজিটাল বিলবোর্ডে ষ্টেশনের মূল ফটকে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনা আবার আসবে’ এমন একটি লেখা প্রকাশ করা হয়। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
খুলনা রেলস্টেশনের ডিজিটাল বিলবোর্ড
উপস্থিত ছাত্র-জনতা জানান, খুলনা রেলস্টেশনের ডিজিটাল বিলবোর্ডের স্ক্রোলিংয়ে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনা আবার আসবে’ এমন একটি লেখা প্রকাশের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এটি দেখার পরেই স্থানীয় ছাত্র জনতা খুলনা রেলস্টেশনে অবস্থান নেয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে খুলনা মহানগর বিএনপি নেতাকর্মী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এ ঘটনায় ডিজিটাল বোর্ড অপারেটর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আসলা হোসেন সেন্টুকে পুলিশে দেয় বিক্ষুব্ধরা।
সদর থানার ইন্সপেক্টর শাহাজাহান আহমেদ জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে আসলাম হোসেন সেন্টুকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। সে ডিজিটাল বোর্ড অপারেটর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ট্রিপল ই সাইন এর কর্মচারী। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার গত ১লা আগস্ট নিষিদ্ধ করেছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও তাদের অঙ্গসংগঠন। প্রায় তিন মাসের ব্যবধানে বুধবার রাতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। আইনজীবীদের দেয়া তথ্যমতে, যে আইনে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সেই একই আইনে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামের ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করলো।
২০০৯-এর ধারা ১৮তে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তালিকাভুক্তকরণ সম্পর্কে বলা হয়েছে। এই ধারার ১৮ (১) উপধারায় বলা হয়েছে- এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কার্যের সঙ্গে জড়িত রয়েছে মর্মে যুক্তিসঙ্গত কারণের ভিত্তিতে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করিতে পারিবে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে তালিকাভুক্ত করিতে পারিবে। ১৮(২)-এ বলা হয়েছে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোনো ব্যক্তি বা সত্তাকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করিতে বা তফসিল হতে বাদ দিতে পারিবে অথবা অন্য কোনোভাবে তফসিল সংশোধন করিতে পারিবে।