চট্টগ্রামে সংঘটিত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এবং যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ফিরোজকে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। সকাল ৯টার পরপরই তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে তোলা হয়। মামলার তদন্ত প্রতিবেদনও আজ জমা দেয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরীকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৮ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়।

মামলার শুনানির সময়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান অভিযোগ করেছেন যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ফজলে করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মহানগরে ছাত্র ও জনতার ওপর হামলা করা হয়েছিল। এই হামলায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এছাড়া, যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ফিরোজেরও বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তাকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং এখন তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। মামলার তদন্তও চলছে এবং আরও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ পাবে শীঘ্রই।
এছাড়া, এই মামলায় সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাসিরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
ফজলে করিম চৌধুরীর আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ুম ট্রাইব্যুনালের কাছে তার মক্কেলের পক্ষে আবেদন জানান, তিনি ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে কথা বলতে চান। ট্রাইব্যুনাল তার আবেদন মঞ্জুর করলে, ফজলে করিম চৌধুরী দাবি করেন যে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয় এবং তিনি কখনোই চট্টগ্রাম শহরে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করেননি।
পড়ুন: ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেটের গোয়াইনঘাটে জামায়াতের বিক্ষোভ
দেখুন: গণহ*ত্যার মামলায় ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ |
ইম/