27 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০, ২০২৫

গাজায় হামলার প্রতিবাদে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারীরা এই বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মার্কিন অস্ত্র সহায়তা বন্ধের দাবি জানান এবং শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। বিক্ষোভকারীদের অনেকেই ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী কেফিয়েহ স্কার্ফ পরিধান করেছিলেন এবং তাদের হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ছিল, যাতে লেখা ছিল— “ইসরায়েলে সব ধরনের মার্কিন সহায়তা বন্ধ কর”, “স্বাধীন ফিলিস্তিন চাই”, “যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো বোমায় ফিলিস্তিনিরা মরছে” প্রভৃতি।

২০২৩ সালে নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে আকস্মিক হামলা চালালে, ইসরায়েল পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করে। প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা ভয়াবহ সংঘাতে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং বহু লোক আহত হয়। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায়, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও ইরাকের প্রচেষ্টায় ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে, চুক্তির প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্বের জন্য ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে তীব্র অচলাবস্থা তৈরি হয়। হামাস থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবিতে অটল, কিন্তু ইসরায়েলের আশঙ্কা, সেনা প্রত্যাহার হলে হামাস আবারও হামলা চালাবে।

বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অভিযান বন্ধ করার পাশাপাশি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অবসান চেয়েছেন। সম্প্রতি হামাস চারটি ইসরায়েলি দ্বৈত নাগরিকের মরদেহ ফেরত দিয়েছে, যার মধ্যে ইসরায়েলি সেনা সদস্য ইদান আলেক্সান্দারও ছিল। যদিও ইসরায়েল এই ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করেছে, হামাস সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এই পরিস্থিতিতে, ইসরায়েল আবারও গাজা সামরিক অভিযান শুরু করেছে,

যার ফলে আরও কয়েক শত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এটি কেবল “শুরু মাত্র” এবং হামাসের সঙ্গে ভবিষ্যতে আলোচনা যুদ্ধের মধ্যেই হবে।

এদিকে, গাজায় চলমান সংঘাত এবং যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জোরদার হচ্ছে, যাতে ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয় এবং এই সংঘাতের অবসান ঘটানো যায়।

পড়ুন: গাজায় ইসরাইলি বর্বরতায় ক্ষুব্ধ জাতিসংঘ মহাসচিব

দেখুন: গাঁজা ছিল বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিযোগ্য সম্পদ |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন