গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে দুই লাখের বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। শনিবার রাতে ১২টায় আবেদনের সুযোগ বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও সে সময় দুইদিন বাড়ানো হয়েছে।
আগামী ১৭ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আখন্দ শনিবার রাতে এ তথ্য দিয়েছেন।
গত ৫ মার্চ দুপুর ১২টা থেকে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির আবেদন শুরু হয়।
দুই লাখের বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন তুলে ধরে গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক বলেন, “শনিবার যখন আমরা সভা করছিলাম তখন পর্যন্ত ২ লাখ ৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এখন সে সংখ্যা কিছু বাড়তে পারে।”
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদন ফি ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫০০ টাকা। এই ফি অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে।
আর্কিটেকচার বিভাগের ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা আবেদন ফির সঙ্গে যোগ হবে।
আবেদন করার পদ্ধতি জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইট (www.gstadmission.ac.bd)-এ পাওয়া যাবে।
গুচ্ছের অধীনে মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান-এই তিনটি বিভাগের পরীক্ষা নেওয়া হবে। ‘সি ইউনিটের’ (ব্যবসায় শিক্ষা) পরীক্ষা ২৫ এপ্রিল সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে।
এরপর ২ মে ‘বি ইউনিটের’ (মানবিক) পরীক্ষা একই সময় অনুষ্ঠিত হবে; আর ৯ মে ‘এ ইউনিটের’ (বিজ্ঞান) পরীক্ষা হবে দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ওইদিন বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত চলবে ‘আর্কিটেকচার ড্রয়িং’ বিষয়ের পরীক্ষা।
এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা দেশের মোট ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র
কেন্দ্রগুলো হল- ১.ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া। ২. মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইল। ৩. পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী। ৪. নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী। ৫. জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল ময়মনসিংহ। ৬. যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর। ৭. বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর। ৮. পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা। ৯. গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ। ১০. বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল। ১১ রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি। ১২. রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ, সিরাজগঞ্জ। ১৩. গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর। ১৪. নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা। ১৫. জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর। ১৬, কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ। ১৭. চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর। ১৮. সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ। ১৯. পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর। ২০. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাপাসিটি সংখ্যক পরিমাণ)।
পড়ুন : গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো