গ্রামে চিকিৎসকরা কেন থাকতে চান না-এ প্রশ্ন অনেকদিনের। চাকরি জীবনে অন্তত একবার উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে কাজ করা ৩০৮ জন চিকিৎসকের ওপর চালানো জরিপে দেখা গেছে, ৭৩ শতাংশ চিকিৎসক বলেছেন; গ্রামে কর্মক্ষেত্র নিরাপদ নয়। কোনো গুরুতর রোগীর চিকিৎসায় মৃত্যু হলে তার আত্মীয়স্বজরা অনেক সময়ই চিকিৎসককে দোষারোপ করেন। অনেক সময় চিকিৎসকের ওপর শারিরীকভাবে হামলাও হয়। অনেক সময় স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা চিকিৎসককে দিয়ে কোনো সুস্থ ব্যক্তিকেও অসুস্থ হিসেবে উল্লেখ করে সনদ দেওয়াসহ এমন নানা সার্টিফিকেট আদায়ের চেষ্টা করেন। চিকিৎসকরা এতে বাধা দিলে তাদের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়ে।
৬৩ শতাংশ চিকিৎসক গ্রামাঞ্চলে তাঁদের জন্য বরাদ্দ করা বাসায় থাকেন না। চিকিৎসক বলেছেন, বাসস্থানের মৌলিক সুযোগ–সুবিধার ঘাটতি রয়েছে।
চাকরি পাওয়ার পর পদায়ন করা এলাকায় দুই বছর কাজ করা চিকিৎসকদের জন্য বাধ্যতামূলক। কিন্তু জরিপে অংশ নেওয়া ২৬ শতাংশ চিকিৎসক তা করেননি বলে জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন গ্রামাঞ্চলের চিকিৎসাসেবা দৃঢ় ও উন্নত করার ব্যাপারে আশাবাদি। গ্রামাঞ্চলে কীভাবে চিকিৎসক ধরে রাখা যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছেন তিনি। গবেষকেরা বলছেন, ভীতি উদ্রেককারী বা অসহায়তামূলক আচরণ দূর করার ব্যাপারে নীতি উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরী।