ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল । এরই মধ্যে উপকূলীয় বিভিন্ন অঞ্চলে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বেলা তিনটার পর থেকে স্থলভাগ ছুঁতে পারে ঝড়টির অগ্রভাগ। ঝড়ে উপকূলীয় এলাকার ১৬ জেলায় ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘূণিঝড় ঝড় রিমালের কারণে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং পায়রা ও মোংলা বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখানো হচ্ছে। সমুদ্র উপকূলবর্তী জায়গার কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোও এর আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে নতুন করে ৯ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে হবে। ঝড়টি সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থান করছে পায়রা ও মোংলা বন্দরের। এই দুই বন্দর থেকে মাত্র ২ থেকে আড়াইশ কিলোমিটার দূরে রিমাল। প্রতি ঘণ্টায় অন্তত ১০ কিলোমিটর গতিতে এগুচ্ছে।
সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত নাগাদ ঝড়টি মোংলার কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সাগর আইল্যান্ড ও খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আবহাওয়াবিদরা ধারণা করছেন, স্থলভাগের ওঠার সময় এর গতি ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার থাকতে পারে।
মোংলায় নদীতে ৬০ যাত্রীবাহী নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। চলচছে উদ্ধার অভিযান ।
টেকনাফের সেন্টমার্টিন শাহপরীর দ্বীপে শুরু হয়েছে বৃষ্টি দমকা বাতাস।
সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ০৩ থেকে ০৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে আচড়ে পড়ছে কক্সবাজারের বালিয়াড়িতে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন।
চট্টগ্রামে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদ এলাকায় সরানো হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে এ্যালার্ট ৪ জারি করা হয়েছে। মাদার ভ্যাসেলগুলো গভীর সাগরে চলে যাচ্ছে।
এদিকে উপকূলের জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। সারাদেশে লঞ্চসহ নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ। বাতিল করা হয়েছে কক্সবাজারগামী বাংলাদেশ বিমানের সব ফ্লাইট।