চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর ৬নং ওয়ার্ডে মাদক ব্যবসায়ী মো. মুরাদের অত্যাচারে অতিষ্ট সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। জুলাই বিপ্লবে সরকারের পতন হওয়ার পর এলাকাবাসী ধারণা করেছিল মুরাদ বাহিনীর অত্যাচার থামবে, বরং তার তার বাহিনীর দৌরাত্ম আরো বেড়েছে।
নিজেকে যুবদল নেতা পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অসামাজিক র্কাযকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে মুরাদ। তথ্য বলছে, চান্দগাঁও থানা যুবদলের সাবেক আহবায়ক গুলজার হোসেনের অনুসারী মুরাদ। যুবদল নেতা গুলজার মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান গ্রুপ হিসেবে পরিচিত।
মুরাদের বিরুদ্ধে মাদক,চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার, চান্দগাঁও , বাকলিয়াসহ বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় মুরাদ। জামিনে বের হয়ে ফের জড়িয়ে পড়ে অপরাধ জগতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৬নং ষোলশহর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা জানায়, কেউ স্থাপনা করতে গেলে মুরাদের অনুসারীরা গিয়ে হাজির হন। দাবী করে মোটা অংকের চাঁদা। পাশাপাশি তার নিকট থেকে নিতে হয় চড়া দামে নির্মাণ সামগ্রী ।
প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চান্দগাঁও থানাধীন ষোলশহর ৬নং ওয়ার্ডের বাদশা চেয়ারম্যান ঘাটা,গোলাম নবীর কলোনী ও লোহা কলোনীসহ বিভিন্ন এলাকায় চলে মাদক সহ তার সকল অনৈতিক ব্যবসা। জনমনে প্রশ্ন তার এত অপকর্মের খুটির জোড় কোথায়?
রাজনৈতিক কর্মসূচি কিংবা বিশেষ দিবসে নগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আবু সুফিয়ানের এবং যুবদল নেতা গুলজার হোসেনের ছবিযুক্ত তার ব্যানার পোস্টার দেখা যায় সংশ্লিষ্ট এলাকায়।
বৃহত্তর রাহাত্তারপুল সমাজ কল্যান পরিষদের সভাপতি হারুন সওদাগরের আস্থাভাজন হিসেবেও পরিচিত এই মুরাদ। ফলে তার অপরাধ কর্মকান্ড নিয়ে মহল্লার কেউ মুখ খোলার সাহস করেন। তার অস্ত্রহাতে মহড়ার একটি ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সবমিলিয়ে চলতি মাসে তাকে ধরতে যৌথবাহিনীর অভিযানও চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র এক নেতা নাগরিক টিভিকে জানান বিষয়টি তারা অবগত হয়েছেন। বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কাউকে অপকর্ম করতে দেয়া হবেনা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
টিএ/