33 C
Dhaka
সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পিন্টু হত্যা রহস্য উদঘাটন দাবি


চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে আব্দুল হাকিম পিন্টু হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের পাশাপাশি প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নবাসী আয়োজিত মানববন্ধনে নিহত পিন্টুর স্ত্রী, মেয়ে ও স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এ দাবি জানান।

নিহত আব্দুল হাকিম পিন্টুর স্ত্রী মোসা. পারভীন বেগম বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর আলী, সদর উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি মাদকের গডফাদার নুরুল ইসলাম ও মাদক সম্রাট জুয়েল রানা পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে নির্মমভাবে খুন করেছে। তারা আমার শ্বশুর মো. হুমায়ুনকে প্রভাবিত করে এ হত্যাকান্ডের প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে নিরপরাধ মানুষকে মামলায় জড়িয়েছে। তার শ্বশুর তার স্বামীর লাশ নিয়ে ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

পারভীন বেগম আরও বলেন, আমার স্বামী মাদকের বিরুদ্ধে ছিল। সে পুলিশ এবং র‍্যাবকে অবৈধ মাদক সংক্রান্ত অনেক তথ্য দিয়ে আসামী গ্রেফতার করতে সহায়তা করত। এই বিষয় নিয়েই মাদক কারবারি নুরুল ও জুয়েল সিন্ডিকেট আমার স্বামীর উপর ক্ষিপ্ত ছিল।

তার দাবি, আমি এখন আমার স্বামীর খুনিদের চিনতে পেরেছি। আমি দ্রুত প্রকৃত আসামিদের দিয়ে আদালতে মামলা করবো। আশাকরি পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করে আমার স্বামী হত্যার রহস্য উদঘাটন করবে। পুলিশ প্রশাসন যেন, আমার স্বামীর প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করেন।

নিহত পিন্টুর মেয়ে মো. সীমা খাতুন তার বক্তব্যে বলেন, আমার বাবাকে যারা মেরেছে তাদের বিচার চাই। মাদক কারবারি নুরুল, জুয়েল, মতি এরাই আমার বাবাকে মেরেছে। প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার চাই, ন্যায্য বিচার চাই।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কীটনাশক ব্যবসায়ী শাকিল আহম্মেদ বলেন,

কারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত পুলিশ ভালো জানে। নিহত পিন্টু পুলিশ ও র‍্যাবের সোর্স ছিল। মাদক ব্যবসার গডফাদাররা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে। এই পিন্টু মাদক ব্যবসায়ী নুরুল ও জুয়েলকেও ধরিয়ে দিয়েছিল। তারাই পিন্টুকে খুন করে থাকতে পারে। কিন্তু এই মামলায় অন্যায়ভাবে ইউপি চেয়ারম্যান টিপু , অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক আশরাফুল মাস্টারসহ অনেক নিরপরাধ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। আমরা আশরাফ মাস্টারের মুক্তি চাই। এ হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার চাই।

টিপু সুলতান কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ বলেন, টিপু সুলতান কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সাহারুল আলম কালুকেও পিন্টু হত্যা মামলা জড়ানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। একজন শিক্ষক এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ৯৫ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আশরাফুল ইসলামকেও এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। তদন্ত করে এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

মানববন্ধনে ৫ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও বিচারের দাবি জানান বক্তারা।

গত ২৪ জানুয়ারি নিহত পিন্টুর বাবা বাদী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক পক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগ করেন এলাকাবাসি। এরআগে ১২ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় আব্দুল হাকিম পিন্টুকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে ২৩ জানুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পড়ুনঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে গাছে গাছে আমের মুকুল, চারদিকে ম-ম গন্ধ

দেখুনঃ সোলেমান হাজারী এখন চাঁপাইনবাবগঞ্জে |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন