ভরা মৌসুমেও এবার উর্ধ্বমুখী চালের বাজার। আমনের নতুন চাল যখন বাজারে, তখনও প্রকারভেদে কেজিতে ২-৫ টাকা বেড়েছে দাম। এদিকে, বাড়তি মুরগির দামও। ব্রয়লার মুরগির কেজিও ছাড়িয়ে গেছে ২শ টাকা। সাধারণ মানুষ আক্ষেপ করে বলছে, দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা, কেবল মুখেই অগ্রাধিকার বলে সব সরকার।
সাপ্তাজহিক ছুটির দিনে কারওয়ান বাজারে, মোহাম্মদ মিয়া উল্লাহ। অন্য বাজার সদাই শেষ করে, মুরগির দোকানে। বাজার শেষ করে, পকেটের টাকার হিসাব-আর সদাই মিলিয়ে, ভীষণ বিরক্ত।
বিরক্ত হওয়ার কারণও আছে তার, যখন তিনি মুরগির বাজারে, তখন প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। পাড়া মহল্লার দোকানে যা আরও কিছু বেশি দাম। আর সোনালী মুরগির কেজি ৩২০ টাকা। মানুষ তাই আক্ষেপ করে বলছে, হয়তো মুরগির বদলে, দিন আসছে প্রোটিনের ট্যাবলেট খেয়ে বাচার।
মাছে, ভাতে বাঙালির পাত থেকে মাছও ওঠে গেছে আগেই, শীতের এই সময়টায় সামাল দিচ্ছেন হয়তো সবজি দিয়ে। তবে, চালের দামও ভরা আমনের মৌসুমে বেশি। ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে কেজিতে, অথচ, নতুন চাল বাজারে। বাজার কি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে আদো, প্রশ্ন ঘুরছে জনমনে।\
তেল নিয়ে কি তেলেসমাতিই না করে দেখালো মিল মালিকরা। জিম্মি করে, লিটারে দামও বাড়িয়ে নিয়েছে, তারপর সরবরাহ পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করলেও, এখনো সব কোম্পানী পুরোদমে ছাড়ছে না। খুচরা পর্যায়ে ক্রেতা-বি্ক্রোরা জড়াচ্ছেন তর্কে।
মানুষ বলছে, যতটুকু না কিনলেই নয়, কেবল তাই কিনে ঘরে ফিরতে হয়, আর আশায় থাকেন হয়তো, আগামী সপ্তাহে কিছুটা কমবে বাজারে। তবে, এক পণ্যে কমলে, যেন আরো দুই পণ্যের দাম।
এনএ/