মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ২০২ রানের লিডের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ। দলীয় মাত্র ৪ রানের মাথায় পরপর ২ উইকেট হারায় ইনিংস হারের শঙ্কা জেঁকে বসেছিল পুরোদমে। তবে মাহমুদুল হাসান জয় এবং মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ভর করে কিছুটা স্বস্তি নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে টাইগাররা। দ্বিতীয় দিন শেষে ২৭ ওভার ব্যাট করে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ১০১ রান।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দ্বিতীয় সেশনের শেষ দিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু তৃতীয় ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে টাইগারদের বিপাকে ফেলেন প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা। প্রথম বলে সাদমান (১) এবং চতুর্থ বলে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল।
দুইজনের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন মাহমুদুল হাসান জয় এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই ব্যাটার মিলে গড়েন অর্ধশত রানের জুটি। কিন্তু দলীয় ৫৯ রানের মাথায় ৪৯ বলে ২৩ রান করে শান্ত ফিরলে আবারও চাপে পড়ে টাইগাররা।
কিন্তু এরপর আর বিপদ ঘটতে দেয়নি দুই ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল হাসান জয়। ব্যাটিংয়ে এসেই ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালাতে থাকেন মুশফিকুর রহিম। এতে ১০০ রানের কোটা পার করে বাংলাদেশ।
দুটি উইকেট নিয়েছেন পেসার কাগিসো রাবাদা। অন্য উইকেটটি পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার কেশাভ মহারাজ। দ্বিতীয় দিন শেষে এখনও ১০১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০৮ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সঙ্গে ২০২ রানের বড় লিড পায় সফরকারীরা। যেখানে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে বড় অবদান রেখেছেন কাইলে ভেরাইনে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১০৬
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৩০৮
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২৭.১ ওভারে ১০১/৩ (জয় ৩৮*, সাদমান ১, মুমিনুল ০, শান্ত ২৩, মুশফিক ৩১*; রাবাদা ৭-৩-১০-২, মুল্ডার ৭-১-২৩-০, মহারাজ ৯-০-৩৩-১, পিট ৪.১-০-২৯-০)