বান্দরবানে পৌর শহর এলাকায় জয়বাংলা স্লোগান লিখে বিএনপি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।
সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে কালাঘাটা ৩নং ওয়ার্ডের এই কর্মকাণ্ড চালায় আওয়ামিলীগ কর্মীরা।
স্থানীয়রা জানান, রাত গভীরে বেশ কয়েক মানুষ এসে অফিসে তান্ডব চালায়। অফিসে ঢুকে ভাঙচুর ও পোষ্টার জ্বালিয়ে দেয়। পরে তারা দেয়ালে জয় বাংলা স্লোগান ও শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার লিখে যায়। এরপর তারা সরিয়ে যায়। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে ব্যাপারে তারা জানেন না।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ , দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে কালাঘাটা এলাকাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অজিত কান্তি দাশ নিয়ন্ত্রণে ছিল। সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতারা আত্মগোপনে চলে যায়। দীর্ঘ ১৭ বছর পর কালাঘাটায় এলাকায় বিএনপি একটি অফিস কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। কিন্তু রাত গভীরে এসে আ.লীগ নেতা অজিত কান্তি দাশের নির্দেশে ২৫ জনের লোকজন বিএনপি অফিসে এসে ভাঙচুরের তান্ডব চালায়। অফিস কক্ষে ভিতরে থাকা চেয়ার,টেবিল ও ছবি ভাঙচুরের পর অফিসে সামনে দেয়ালে জয় বাংলা স্লোগান লিখে যায়। হামলাকারীরা সকলেই মুখোশ পরিহিত থাকায় কাউকে সনাক্ত করতে পারেনি। তবে এসব কর্মকান্ডে পিছনে আ.লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক অজিত কান্তি দাশ সরাসরি লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা।
ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি নবী হোসেন বলেন, গতকাল রাতে আ.লীগ লোকজন আমাদের অফিস ভাঙচুর চালিয়েছে। এর কারণ পিছনে অজিত কান্তি দাশের হাত রয়েছে।
৩নং ওয়ার্ড আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক টিটু বড়ুয়া বলেন, অজিত কান্তি দাশের সাথে আমার তিন বছর ধরে সম্পর্ক নাই। বিএনপি অফিস ভাঙচুর পিছনে আমার কোন হাত নাই। তাছাড়া বিএনপি সকল নেতাদের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানো পায়তারা চলছে। এই ঘটনা সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই বলে দাবি করেন তিনি।
এবিষয়ে জেলা আ.লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক অজিত কান্তি দাশের সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পৌরসভা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শফিক বলেন, অজিত কান্তি দাশের ২৫ জনের মতন লোকজন আমাদের বিএনপি অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে। ভাঙচুরের পর তারা অফিসে দেয়ালে সামনে জয়বাংলা স্লোগান লিখে গেছে।
এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম (ক্রাইম এন্ড অপস) বলেন, গতকাল রাতে ভাঙচুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শন করেছে। তবে এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি বলে জানান তিনি।
পড়ুন: বাংলাদেশের পণ্যে শুল্ক আরোপ করা উচিত হয়নি: পল ক্রুগম্যান
দেখুন: হঠাৎ করেই স্মৃতিসৌধে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান! |
ইম/