দেশে প্রথম স্বৈরাচারের তকমা পাওয়া জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগ বিএনপির রসায়ন নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু এবার শেখ হাসিনার পতনের পর সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত । হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনাও ঘটেছে দলটির কার্যালয়ে। অন্তর্বর্তী সরকারে তিনমাসের মাথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, জাতীয় পার্টিকে হুমকি মনে করছে সরকার। রাজনৈতিক কর্মকান্ড স্বাভাবিক করতে নেতাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার পরামর্শ তাদের।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজনীতিতে কোণঠাসা জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা। অনমণীয় ছিলো অন্তর্বতী সরকারও। ডাকা হয়নি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর করা সংলাপেও।
তিনমাস পর হঠাৎ করেই যেন রাজপথের রাজনীতিতে কিছুটা উত্তাপ ছড়ালো। কার্যালয়ে হামলা হলো, অগ্নিসংযোগ হলো। প্রতিবাদের দলটির প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়। মাঠে থাকার ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরাও।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাকরাইল এলাকায় সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। পার্টির কার্যালয়ের সামনে পুলিশের অবস্থান, পরিবেশ থমথমে হয়ে উঠে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, জাতীয় পার্টির ওপর ভর করে আওয়ামী লীগসহ বিপ্লব বিরোধী গ্রুপগুলো মাঠে নামতে পারে সেই আশংকা থেকেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর এই বক্তব্যে সামাজিক মাধ্যমে ঘুর বেড়াচ্ছে। যা পুঁজি করেই দলটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেনে অনেকেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, দলটি তখন পরিস্থিতি স্বীকার ছিলো, যা শুধু আওয়ামী লীগ নয়, অন্যরাও করেছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী নির্বাচনে ভোট হলে আওয়ামীলীগ অংশ নিতে পারবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। সেক্ষেত্রে জাতীয় পার্টি এককভাবে অংশ নিলে আওয়ামীলীগের বাড়তি সমর্থন পেতে পারে। সেই জায়গা থেকেও তাদের হুমকি মনে করা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
টিএ/