বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারদের দীর্ঘ দিনের অন্যায়, অনাচার ও জুলুমের পরে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ তার পথ ফিরে পেয়েছে। দেশের মানুষ এখন শান্তিতে-স্বস্তিতে শ্বাস নিতে পারছে। কিন্তু পতিত স্বৈারাচাররা এখনো থেমে নেই। তারা একের পর এক বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে চলেছে।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যহীন, দুর্নীতি মুক্ত, মানবিক বাংলাদেশ গঠনে সবার ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চাই। দেশবাসী দীর্ঘদিন বহু ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আগামীর বাংলাদেশ গঠনে প্রয়োজনে আগের থেকেও আরও বেশি ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। তিনি সবাইকে সকল বৈষম্য, অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশে বিদেশে অনেক ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত হয়েছে জামায়াতের বিরুদ্ধে। সংগঠন হিসেবে আমাদের মতো এত বিশাল ক্ষতির স্বীকার হয়নি আর কেউ। এরপরও আমরা আমাদের নেতাকর্মীদেরকে ধৈর্য ধরে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলাম। সবাই সে ডাকে সাড়া দিয়েছেন। এত ক্ষয়-ক্ষতির পরেও কোনো অপশক্তি আমাদের মাথা নত করাতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে তিনি সিলেট জেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অন্যান্য জামায়াত নেতার বক্তব্য
সিলেট জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মোঃ ফখরুল ইসলাম।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, বাংলাদেশ জেগে উঠেছে। আমাদের তরুণ আর যুবকরা প্রমাণ করেছে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হলে স্বৈরাচার যত শক্তিশালীই হোক তারা টিকে থাকতে পারে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, দেশ বিরোধী, স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠি নানা ষডযন্ত্র ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিভাজিত করেছিলো। কিন্তু ৫ অগাস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর দেশবাসী আজ ঐক্যবদ্ধ। এই ঐক্যই আমাদের শক্তি। এটাকে ধরে রাখতে হবে।
জেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ছাত্র-জনতা বুকের রক্ত দিয়ে প্রমাণ করেছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং সুশাসনের পক্ষে আমরা যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে পারি। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দেশবাসী জামায়াতের দিকে চেয়ে আছে। আমাদেরকে সেই প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে হবে।