যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আওয়ামী লীগের লাভ হবে। এমন আশায় ট্রাম্পের জন্য শুভ কামনা জানাচ্ছে দলটির নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খীরা্। কতটা আশাবাদী হতে পারে আওয়ামী লীগ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন নির্বাচনে এমন খোলামেলা আলোচনা হয়েছে কি-না জানা নেই। তাও এমন এক সময় যখন বাংলাদেশ নিজেই এক যুগসন্ধিক্ষণের সংকট মোকাবেলা করছে। টানা ১৬ বছরের স্বৈরশাসনের পতন, শেখ হাসিনার পলায়ন ও ভারতে আশ্রয়। আর এই কারণে প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক যেকোন সময়ের চেয়ে তলানিতে। প্রচার প্রোপাগান্ডাও চলছে সংখ্যালঘু নির্যাতনের।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য যেন আগুনে ঘী ঢালার শামিল। এতোদিন যে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা চুপচাপ ছিলো তারাও আশায় আলো দেখতে শুরু করেছে। শুভ কামনা করছে ট্রাম্পের জন্য। তাদের সমীকরণ, হাসিনার বন্ধু ভারত আর ভারতের বন্ধু ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল কখন জানা যাবে?
কিন্তু আদৌ কি সেই সমীকরণে সম্ভব আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এইটা একটা মিথের মতো বিরোধী দলগুলোর কাছে।
আর সুইং স্টেটগুলোতে হিন্দু ভোটারদের আধিক্য আছে, যে কারণে সংখ্যালঘু ইস্যুতে মার্কিনীদের আলোচনায় বাংলাদেশ।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তার পররাষ্ট্রনীতি যেভাবে সেট করে তাতে আদৌ কি এর সম্ভাবনা আছে কি?
যেমন ধরুন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি জামায়াত মনে করেছিলো কংগ্রেসের সঙ্গে যেহেতু আওয়ামী লীগের দহরম মহরম সম্পর্ক তাই বিজেপী ক্ষমতায় এলেই সংকট কেটে যাবে। কিন্তু হলো এর উল্টো টা।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ডেমোক্রেট আসলে বাইডেনের গণতন্ত্রের বৈশ্বিক অভিযান হয়তো অব্যহত থাকবে তাতে বাংলাদেশের কোন চ্যালেঞ্জ নেই। কিন্তু ট্রাম্প আসলেও আশাবাদের মতো কোন ব্যাপার নেই কারণ। ট্রাম্প নিজের দেশ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।
বিশ্লেষকরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ এশিয়া পলিসির একটি অংশ বাংলাদেশ। সরাসরি কোন পলিসিতে নেই। ফলে ট্রাম্প আসলেই আওয়ামী লীগের জয় হয় ব্যাপরাটা ভাবাই বিচক্ষণ কোন কাজ নয়।
তবে, যে আলোচনাটা হচ্ছে তা মুলত ভোটের হিসাব নিকাশ। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্যতম বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে সুইং স্টেট হিসেবে পরিচিতি সাতটি রাজ্য। আর তাতে হিন্দু ভোটারদের আধিক্য রয়েছে। তাদের কাছে টানতেই ট্রাম্পের পাগলাটে মন্তব্য, অভিমত তাদের।