ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে টাকার বড় অবমূল্যায়ন করলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এক দিনে ডলারের দাম বাড়লো ৭ টাকা। এদিকে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে, বাড়ানো হয়েছে নীতি সুদহার। আর ব্যাংক ঋণের সুদ হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
অনেকটা বছর জোরপূর্বক ডলারের দাম আটকে রাখার খেসারত দিতে হয়। ২০২২ সাল থেকে টাকার অবমূল্যায়ন হতে থাকে। ফলে কমতে থাকে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত। এদিকে, ডলার শক্তিশালী হওয়াতে বেড়ে যায় আমদানি ব্যয়। এতে বাজারে আমদানি করা জিনিসপত্রের দামও বেড়ে যায়।
এরপর থেকে টোটকা নানা উদ্যোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা বাজার ঠিক করতে উদ্যোগ নিয়েছে। নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ আশা দিয়েছে, পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে। তবে, কিছুই ঠিক হয়নি। এবার ক্রলিং পেগ প্রক্রিয়া হাতে নেয়া হলো। যার ফলে একদিনে, টাকার বড় অবমূল্যায়ন হলো, প্রতি ডলারের দাম বেড়ে গেলো সাত টাকা।
ডলারের দাম বাজারের ওপর ছাড়ার চাপ ছিলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের। তবে, হুট করে পুরোপুরি বাজারের ওপর ছাড়ার ঝুকি আপতত নিতে চায় না বাংলাদেশ ব্যাংক।
এদিকে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে আরও দুই গুরুত্বপূর্ণ নীতি উদ্যোগ হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নীতি সুদ হার বাড়ানো হলো ৫০ বেসিস পয়েন্ট। ফলে নতুন হার বেড়ে দাড়ালো ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের বড় দায়িত্ব মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা। তবে প্রতিষ্ঠানটি নানা চেষ্টা করেও এটি নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেকটা ব্যর্থ হয়েছে।
বাজারে যখন অসহনীয় জিনিসপত্রর দাম, তখন মানুষকে স্বস্তি দিতে, ব্যাংক ঋণের সুদ হার বাজারের ওপর ছাড়ার চাপও ছিলো নানা মহল থেকে। অর্থনীতির শাস্ত্রমতে, সুদ হার বাড়লে বাজারে নগদ টাকার প্রবাহ কমবে, ফলে মূল্যস্ফীতিও নিম্বমুখী হবে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের স্মার্ট পলিসি বাতিল হয়ে গেলো।
এদিকে, তথ্য জনগণের সম্পদ। তা জনগণের কাছে পৌছে দেন সাংবাদিকরা। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার আঙিনায় সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এর প্রতিবাদে, দুপুরে ডাকা সংবাদ সম্মেলন বয়কট করে সাংবাদিকরা।