কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরও দুই সমন্বয়ককে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তারা হলেন সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। গতকাল শনিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সারজিস ও হাসনাতকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার জুনায়েদ আলম সরকার। তিনি বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যায় তাদের ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এই দু’জনকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দিতে ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সম্পর্কে তথ্য জানতে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
ডিবি দাবি করেছে নাশকতায় জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার নেতাদের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন সমন্বয়কের আলোচনা হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, নেতাদের মধ্যে রয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন ডিবিপ্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিন সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়। তারা হলেন– নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার। শুক্রবার রাতে ডিবি বলেছে নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, ১৯ জুলাই মধ্যরাতে খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া এলাকা থেকে নাহিদকে তুলে নেওয়া হয়। ২১ জুলাই ভোরে তাঁকে ফেলে যাওয়া হয় পূর্বাচল এলাকায়। সেদিনই (১৯ জুলাই) আসিফ ও বাকেরকেও তুলে নেওয়া হয়েছিল। পাঁচ দিন পর ২৪ জুলাই আসিফকে হাতিরঝিল ও বাকেরকে ধানমন্ডি এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়। পরে তারা গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার সেখান থেকেই তাদের নিয়ে যায় ডিবির একটি দল।