23 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

ডুবোচরে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুটে চলাচল ব্যাহত

নাব্য সংকট ও ডুবোচরে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়েছে চালকরা। ভাটার সময় আটকা পড়ে ফের জোয়ারের অপেক্ষায় থাকতে হয় তাঁদের। অন্যদিকে লোকসানের আশঙ্কায় পচনশীল পণ্য ও তরমুজ ব্যবসায়ীরা।

দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে লক্ষীপুর নৌরুটটি  সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন শতশত যান এপথে যাতায়াত করে। মেঘনা নদীতে বিশাল ডুবো চর জেগে ওঠায় ফেরী পারাপারে দেখা দিয়েছে চরম ভোগান্তি। ২০ কিলোমিটারের এই নৌপথ ৩৫ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হচ্ছে ভোলার ইলিশা-লক্ষীপুর মজু চৌধুরীর ঘাটের ফেরীগুলোকে। সেখানেও চর রমনীতে প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে তীব্র নাব্য সংকট।

এই চ্যানেলে ফেরী একবার আটকে গেলে জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৩ থেকে ৪ ঘন্টা। তরমুজ ব্যবসায়ী বলেন, কাচামাল নিয়ে দুই তিনদিন বসে থাকতে হয়, মালামাল পচে যায়। ফেরিচালক বলেন, মাঝে মধ্যেই ফেরি বালু চরে আটকে যায়, তখন ২/৩ ঘন্টা জোয়ারের অপেক্ষায় বসে থাকতে হয়।

ইলিশা ফেরীঘাটে ২-৩ দিন অপেক্ষা করতে হয় যানবাহনের চালক ও স্টাফদের। গাড়ি পার্কিংয়ের নির্দিষ্ট স্থান নেই, থাকা খাওয়ার ভালো ব্যবস্থাও নেই। তাই বিপাকে পড়েন তারা। আটকে পড়া ব্যবসায়ীরা বলেন, টানা দুই-তিন দিন ফেরির জন্য বসে থাকতে হয়।

যানযটের এ সমস্যা সমাধান হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা মেরিন অফিসার আল আমিন। তিনি বলেন, আমরা খুবই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি এ সমস্যা বেশিদিন থাকবে না, শিগগিরিই এর সমাধান হবে। ভোলা-লক্ষীপুর এই রুটে ৫টি ফেরিতে আগে প্রায় ২শ যানবাহন চলাচল করতো। এখন ৬টি ফেরী চলাচল করলেও প্রতিদিন কমছে যানবাহন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন