ডুমুরের বীজে মহাগ্রন্থ আল কোরআনের সুরা লিখেছেন তুরস্কের এক ব্যক্তি। মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে তিনি ডুমুরের ছোট্ট একটি বীজে খোদাই করেছেন সুরা ইখলাসের আয়াত।
পবিত্র কোরআনে যে ফলে শপথ নেয়ার কথা উল্লেখ আছে, সেই ফলের বীজেই খোদাই করে সুরা লিখেছেন এই শিল্পী। এটি প্রথম নয়, ২০১৪ সাল থেকেই এমন নানান অসাধ্য সাধন করে যাচ্ছেন, নেচাতি কোরকমাজ নামের ওই শিল্পী।
তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় কুসাদাসির বাসিন্দা নেতাচি। সেখানেই ছোট্ট একটি ঘরে বসে এক নাগাড়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। খুদে জিনিসের এই ভাস্কর টানা ছয় মাসের চেষ্টায়, ডুমুরের বীজে খোদাই করেছেন সুরা ইখলাস।
ইতিহাস বলে, ৪০০ বছর আগে মাস্টার সাইদ কাসেম কুবানি, একটি চালের ওপর সুরা আল ইখলাস লেখার কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। আর এবার সেই সুরা ডুমুরের বীজে খোদাই করে ইতিহাসে নাম লেখালেন নেচাতি কোরকমাজ।
ডুমুরের বীজ পরিষ্কার করতে ছোট একটি মাকড়সার চুল থেকে ব্রাশ তৈরি করা হয়। আর রিটাচিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয় মৌমাছির হুল। সুরা ইখলাস খোদাই করার পর থেকেই, ডুমুরের ওই বীজটি প্রদর্শনী করা হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ক্যালিগ্রাফিক বস্তু হিসেবে এটি কুসাদাসির মিনিয়েচার আর্টস মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রয়েছে।
নেচাতির সাফল্যের পালকে আরও অর্জন রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম ছোট একটি কোরআন। যা তিনি হাতে লিখেছেন। ২০১৪ সালের দিকে ক্ষুদ্র ওই কোরআন লেখেন নেচাতি। এজন্য অনেক কাঠখোড় পোড়াতে হয়েছে তাকে। ছোট ওই কোরআন লিখতে তিন বছর সময় লেগেছে এই তুর্কি ভাস্করের।
১২০ পৃষ্ঠার ক্ষুদ্র কোরআনের পুরোটাই তার হাতে লেখা। প্রতিটি পৃষ্ঠার ফ্রেম স্বর্ণের ফয়েল দিয়ে সাজানো হয়েছে। এমনকি সবগুলো পৃষ্ঠা সোনালি রঙে সাজানো।
কোরআন হাতে লিখতে গিয়ে চরম ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়েছে নেচাতিকে। হাতে লেখা বড় কোরআন যেভাবে লেখা হয়, ঠিক সেভাবেই ক্ষুদ্রাকৃতির এই কোরআন লিখেছেন নেচাতি কোরকমাজ। লেখার জন্য ব্যবহার করেছেন শেয়ালের পশম।