আঞ্চলিক স্মার্ট উদ্যোক্তাদের খোঁজ পেতে এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনা বিকাশের লক্ষ্যে দেশব্যাপী গ্রামীণফোনের স্টার্টআপ ইনোভেশন প্ল্যাটফর্ম জিপি এক্সিলারেটরের উদ্যোগে আয়োজিত হচ্ছে ‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ বুটক্যাম্প। এরই অংশ হিসেবে শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর আইডিইবি ভবনে অনুষ্ঠিত হলো বুটক্যাম্পের অষ্টম আসর।
মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণে আগ্রহী তরুণদের দক্ষতা অর্জন, নেটওয়ার্কিং এবং ফান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে এই বুটক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। বুটক্যাম্পে প্রায় ২শ’ জন উদ্যোক্তা অংশ নেন। দেশব্যাপী ২০টি অঞ্চলে ধাপে ধাপে এই রিজিওনাল বুটক্যাম্পের আয়োজন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস ডিভিশনের ডিরেক্টর জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান। এছাড়া গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) হ্যান্স মার্টিন হেনরিকসেনসহ স্থানীয় সমাজ সংগঠক, স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতা, জিপি এক্সিলারেটর (জিপিএ) সদস্য, সংশ্লিষ্ট শিল্পের বিশেষজ্ঞ ও প্রশিক্ষকগণ, খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ও অংশীজনগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গ্রামীণফোনের জিপি এক্সিলারেটর প্রোগ্রাম লিড মুহাম্মদ সোহেল রানা।
অনুষ্ঠানটি দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল। দিনের প্রথম ভাগে ডিজাইন থিংকিং-এর কলাকৌশল অর্থাৎ ডিজাইন থিংকিং কী, এর ধাপগুলো কী কী, প্রোডাক্ট টেস্টিং ও মার্কেট রিসার্চ, ফিন্যান্সিয়াল মডেলিং, ইনভেস্টমেন্টের জন্য পিচ ডেক কিভাবে করতে হয়- এই বিষয়গুলোর উপরে বিস্তারিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। বুটক্যাম্পের দ্বিতীয় ভাগ বা চূড়ান্ত পর্বে হয় আইডিয়া পিচিং প্রতিযোগিতা; যেখানে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন আইডিয়া উপস্থাপন করা হয়। এক্ষেত্রে স্থানীয় সমস্যা সমাধানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) হ্যান্স মার্টিন হেনরিকসেন বলেন, ”স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে স্মার্ট উদ্যোক্তা গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্যে জিপি এক্সিলারেটরের উদ্যোগে দেশব্যাপী আয়োজিত হচ্ছে ‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ বুটক্যাম্প। এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেধাবী উদ্যোক্তারাও তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। এই আয়োজনে তরুণ উদোক্তারা যেভাবে সাড়া দিচ্ছেন তা আশাব্যাঞ্জক। তরুণ সমাজের দক্ষতা উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালনে সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গ্রামীণফোন।”
২০১৫ সালে কার্যক্রম চালুর পর থেকে দেশের স্টার্টআপ খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে জিপি এক্সিলারেটর । এটি ৫০টি স্টার্টআপের মাধ্যমে ৫ লক্ষ মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। একইসাথে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে জিপি এক্সিলারেটর। অনুষ্ঠানে বিজয়ী দলকে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড জিপি এক্সিলারেটরের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করছে।