ঈদ উপলক্ষ্যে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা সারতে এখন মাংস ও সালাদ জাতীয় সামগ্রীর দোকানে ভিড় বেড়েছে। তৈরি হয়েছে বাড়তি চাহিদা। আর এই সুযোগে গরু ও খাসির মাংসের দাম কিছুটা চড়েছে। ঢাকায় বড় বাজারগুলোতে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে মিলছে ৮শ’ টাকায়। খাসির মাংস কিনতে গুণতে হচ্ছে ১২শ’ টাকা।
ক্রেতারা বলছেন, প্রতি ঈদের আগে, বাড়তি চাহিদার সুযোগ কাজে লাগিয়ে থাকেন, ব্যবসায়ীরা। এবারও তার ব্যত্যয় হয়নি।
নিয়ন্ত্রণের বাইরে না গেলেও, দাম বৃদ্ধির তালিকায় আছে সব জাতের মুরগি। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে এক কেজি ব্রয়লার মিলছে ২৩০ টাকায়। আর সোনালির জন্য গুণতে হবে ৩৪০ টাকা। আর মাঝারি আকারের এক কেজি দেশি মুরগির জন্য দিতে হবে সাতশ টাকা।
ঈদের খাবার তালিকার বড় অনুষঙ্গ সালাদ সামগ্রী। তাই সাধ্যমতো সবাই কেনেন শসা, লেবু, টমেটো, গাজরসহ সালাদ জাতীয় পণ্য। সহনীয় আছে টমেটো আর গাজরের দাম। মিলছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজির মধ্যে।
কিন্তু লেবুর দাম যেন নাগালের বাইরে। মাঝারি মানের এক হালি লেবুর জন্য দিতে হবে একশ টাকার বেশি। আর ভালো মানের জন্য পকেট থেকে বেরিয়ে যাবে দেড়শ টাকা। একশ টাকা কেজির নিচে পাওয়া যাচ্ছে না শসা।
এদিকে, বেশ কিছুদিন স্থিতিশীল থাকার পর গত দুইদিনের ব্যবধানে বেড়েছে ডিমের দাম। ডজনে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
পড়ুন : মাংসের বাজারে ঈদের প্রভাব থাকলেও বাজারে নেই কত্রিম সংঙ্কট