23 C
Dhaka
শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে সড়ক নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)-এর উদ্যোগে সড়কে হতাহতদের স্মরণে ও ঢাকা’র সড়ক নিরাপদ করে তুলতে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণে রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক গোলটেবিল সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সড়কে হতাহতদের স্মরণে বৈশ্বিক দিবস ‘ওয়ার্ল্ড ডে অফ রিমেমব্রেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিকটিমস’ উপলক্ষে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) ও ভাইটাল স্ট্রাটেজিস এর কারিগরি সহায়তায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সঞ্চালনা করেন বিআইজিআরএস-এর ইনিশিয়েটিভ কোঅর্ডিনেটর মো. আবদুল ওয়াদুদ এবং প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভাইটাল স্ট্রাটেজিস এর কারিগরি পরামর্শক আমিনুল ইসলাম সুজন।

সভাপতির বক্তব্যে ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সড়কসমূহকে নিরাপদ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটিসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে আমরা কাজ করছি। বিশেষত, ডিএনসিসি – ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস এর বৈশ্বিক সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর আওতায় ঢাকা উত্তরের জনগণের জন্য নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

সভার সম্মানিত অতিথি প্রধান প্রকৌশলী ব্রি.জে. মো. মঈন উদ্দিন বলেন, যারা মারা যায় তাদের পরিবার যে অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যায় তা খুবই হৃদয় বিদারক। যারা ভুক্তভোগী শুধু তারাই এটি অনুধাবন করেন। ঢাকার সড়কে যারা মারা যায় তাদের বড় অংশ পথচারী, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল আরোহী।

সভায় উপস্থিত শিক্ষক রওনাক করিম-এর সন্তান সৌভিক অর্জুন (৪২) ও রেবেকা সুলতানার স্বামী মো. আরিফুল ইসলাম (৪১) সহ ঢাকা সড়কে রোড ক্র্যাশে নিহতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করার মাধ্যমে গোলটেবিল সভা শেষ হয়।

সভা সঞ্চালক বিআইজিআরএস এর ইনিশিয়েটিভ কোঅর্ডিনেটর মো. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, সড়কে হতাহতদের আন্তর্জাতিক দিবসের উদ্দেশ্য হচ্ছে, সড়কে যারা মারা গেছেন ও পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছেন, তাদের স্মরণ করা, মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবার ও চিকিৎসাধীন ব্যক্তিকে জরুরি সেবা প্রদান করা, সড়ক নিরাপদ করতে গবেষণাধর্মী তথ্য ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় আইন ও নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রভৃতি। এ বছরের দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে “সেই দিন যে দিনে রোড ক্র্যাশের কারণে পরিবারের সদস্য মারা গেছেন বা চিরতরে পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছেন”।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে ভাইটাল স্ট্রাটেজিস-এর কারিগরি পরামর্শক আমিনুল ইসলাম সুজন বলেন, আমরা সকলে সড়ক ব্যবহার করি। তাই সড়ক ব্যবহারে নিরাপত্তা বা নিরাপদ সড়ক ব্যবহারের বিষয়টি সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রোড ক্র্যাশ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, এটি আমাদের সকলকে প্রভাবিত করে।

ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটি (ডিটিসিএ) এর সিনিয়র রোড সেফটি স্পেশালিস্ট মো. মামুনুর রহমান বলেন, ঢাকায় মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগ কমাতে ডিটিসিএ কাজ করছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার (ট্রাফিক-ঢাকা উত্তর) সুফিয়ান আহমেদ বলেন, সড়ক নিরাপদ করতে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ ও বিধিমালা ২০২২ অনুযায়ী পুলিশকে যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তার আলোকে ডিএমপি কাজ করে যাচ্ছে। যানবাহনগুলো যদি আইন মেনে চলে তাহলে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে।

ডব্লিউআরআই’র টেকসই শহর কর্মসূচির পরামর্শক ফারজানা ইসলাম তমা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে নিয়মিত সড়ক দূর্ঘটনার কথা শোনা যায়। কিন্ত নিরাপদ নকশা প্রণয়নের মাধ্যমে যে এসব দূর্ঘটনার পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব।

বিআইজিআরএস এর সার্ভিলেন্স কোঅর্ডিনেটর ডা. তানভীর ইবনে আলী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ভাইটাল স্ট্রাটেজিস, জনহপকিন্স সেন্টার ফর ইনজ্যুরি প্রিভেনশন এন্ড রিসার্চ এবং সেন্টার ফর ইনজ্যুরি প্রিভেনশন এন্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) এর মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর ও চট্টগ্রাম শহরে রোড ক্র্যাশ, ও সড়ক ব্যবহারকারীদের আচরন (সঠিক হেলমেট ব্যবহার, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো ইত্যাদি) বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র ন্যাশনাল কনসালটেন্ট (এনসিডি) ডা. ওয়াতিন আলম বলেন, সড়কে কোন ক্র্যাশ হওয়ার পর দ্রুততার সঙ্গে আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা গেলে অকালমৃত্যু ও পঙ্গুত্ব অনেক কমানো সম্ভব।

অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন ডিএনসিসি’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, বিআইজিআরএস-এর ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেটর রেজাউর রহমান, ব্র্যাক এর রোড সেফটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক তামান্না মিজান, সেন্টার ফর ইনজ্যুরি প্রিভেনশন এন্ড রিসার্চ; বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)-এর রোড সেফটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক কাজী বোরহান উদ্দিন, ডিএনসিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং) নাঈম রায়হান খান, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের এডভোকেসি অফিসার মো. মনোয়ারুল ইসলাম, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রকল্প কর্মকর্তা মো. জুলহাস আহমেদ, মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) এর সিনিয়র প্রজেক্ট ও কমিউনিকেশন অফিসার আবু রায়হান প্রমুখ।

দেখুন সড়ক দুর্ঘটনা: ঝালকাঠিতে ১৪ জনসহ ৫ জেলায় নি হ ত ২০ | Nagorik TV

পড়ুন প্রশাসনিক কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত ট্রাফিক দেখবেন শিক্ষার্থীরা

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন