তীব্র গরমে গবাদিপশুর খাবার নিয়ে বিপাকে সিরাজগঞ্জের খামারিরা। বাড়ছে নানান ধরনের রোগবালাই। কমেছে দুধের উৎপাদন। আসন্ন কোরবানির ঈদের আগে আর্থিক ক্ষতির শঙ্কায় আছেন তারা।
দেশজুড়েই সিরাজগঞ্জের গবাদী পশুর চাহিদা বেশি। সে কারণে শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ সদরসহ বেশকিছু অঞ্চলে গড়ে উঠেছে পশুর খামার।
তীব্র তাপপ্রবাহে মানুষের পাশাপাশি কাহিল গবাদিপশুও। গো-খাদ্য হিসেবে সবুজ ঘাস খাওয়ানো হলেও, তীব্র গরমে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। দেখা দিচ্ছে জ্বর, ল্যাপিংসহ নানান রোগবালাই।
তাপ থেকে রক্ষায় গবাদী পশুকে দিনে দুই থেকে তিনবার গোসল করানো হচ্ছে। খামার শীতল রাখা হচ্ছে কৃত্রিম উপায়ে ছাউনি ও ফ্যান লাগিয়ে। তবে, তাতে সুফল আসছে না খুব একটা। ফলে আসছে কোরবানির ঈদে আর্থিক ক্ষতির শঙ্কায় খামারিরা।
রোগ নিয়ন্ত্রণে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসহ সমস্যা সমাধানে তৎপর থাকার কথা বলছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
সিরাজগঞ্জ জেলায় এ বছর মজুত রয়েছে ৬ লাখ ২৪ হাজার গবাদী পশু।