দুই দফা বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই প্রবল বর্ষণে আবার বন্যার মুখোমুখি হয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বাসিন্দারা। গত দুই দিনে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৪৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১৭০ মিলিমিটার, সিলেটের কানাইঘাটে ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। কুশিয়ারা নদীর অমলসীদ পয়েন্টে ৭১ সেন্টিমিটার, একই নদীর শেওলা পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯৩ সেন্টিমিটার, শেরপুর পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার ও সারিগোয়াইন নদীর পানি গোয়াইনঘাট পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা হচ্ছে ১৮০ সেন্টিমিটার, সেখানে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৯৪ মিলিমিটার। আজ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
রবিবার থেকেই সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকে বন্যার মুখোমুখি হয়েছে এলাকাবাসী। সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকা গোয়াইনঘাটের জাফলং, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর এলাকা দিয়ে প্রবাহিত নদনদীগুলোর পানি প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে।
গত ২৯ মে সিলেটের নিম্নাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা যায়। এরপর জুন মাসের মাঝামাঝিতে সিলেটে ফের বন্যা শুরু হয়। প্রথম দফায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছিলেন ও দ্বিতীয় দফায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হন। দুই দফা বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই তৃতীয় দফায় ফের বন্যার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় অনেকটা ভয় আতঙ্কে আছে সিলেট অঞ্চলের মানুষ।